কুমিল্লায় বেতন-বোনাসের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, ২০ কিমি যানজট
বেতন-বোনাসের দাবিতে কুমিল্লার চান্দিনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে সড়কের উভয়পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। ফলে ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েন।
আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় চান্দিনার ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি- এই গার্মেন্টটিতে প্রায়ই তাদের বেতন আটকিয়ে রাখা হয়। ঈদের আর মাত্র তিনদিন বাকি। অথচ মালিকপক্ষ তাদের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাসও পরিশোধ করেনি।
তবে কারখানাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শ্রমিকদেরর বেতন ও বোনাস দেওয়া শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবারেও এটি অব্যাহত ছিল।'
তিনি যোগ করেন, 'শ্রমিকদের সবাই বিক্ষোভ করেনি। মাত্র কয়েকজন শ্রমিক বিক্ষোভ করেছে।'
এদিকে অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ক্যান্টনমেন্ট থেকে ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশেই প্রায় ২০ কিলোমিটারের মতো যানজট সৃষ্টি হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও বিকাল ৪টা পর্যন্ত মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট অব্যাহত ছিল। কর্মসূচির কারণে যানজট সৃষ্টি হয় পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা-সিলেট ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কেও।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা আসছিলেন ফয়েজ উল্লাহ নামে এক যাত্রী। তিনি জানান, সকাল ১০টায় রাজধানীর টিকাটুলি থেকে বাসে উঠেছেন। অন্যান্য সময়ের মতো মহাসড়ক অতটা ফাঁকা ছিল না। গাড়ির চাপ বেশি ছিল। দাউদকান্দি আসার পর যানজটে পড়েন তিনি। তার কুমিল্লায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর ৩টা বেজে যায়।
আবদুল্লাহ সউদ নামে এক যাত্রী বলেন, 'ইলিয়টগঞ্জ পর্যন্ত আসার পর গাড়ি দুই ঘণ্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। মনে হচ্ছিল কুমিল্লা পৌঁছাতে পারব না।'
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, 'শ্রমিকদের বুঝিয়ে দুপুর সোয়া ১২টায় মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।'
চান্দিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মো. সোয়াইব বলেন, 'আমরা মালিকপক্ষের সাথে কথা বলেছি। শুক্রবারের মধ্যেই পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে এমন শর্তে শ্রমিকেরা রাস্তা ছেড়েছেন।'
উল্লেখ্য, কারখানাটির শ্রমিকরা এর আগেও বেতন-বোনাসের দাবিতে একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।