সুপার এইটে যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানের বিদায়
যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডের ম্যাচ, এই ম্যাচের 'বড়' দর্শক পাকিস্তানও। যাদের সমর্থন আয়ারল্যান্ডের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটা জিতুক, তা কোনোভাবেই চাননি বাবর-রিজওয়ানরা। সমীকরণটা অবশ্য সহজই, কেবল যুক্তরাষ্ট্র হারলেই তাদের সুপার এইটের আশা বেঁচে থাকবে। এই ম্যাচে যখন বৃষ্টি হানা দেয়, সবচেয়ে হতাশ হয়তো পাকিস্তানই হয়েছে। তাদের সেই হতাশা আরও বাড়লো বৃষ্টিতে ম্যাচটি ভেসে যাওয়ায়।
এই বৃষ্টিতে ভেসে গেল পাকিস্তানের সুপার এইটের আশাও। আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেল পাকিস্তানের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি থাকা ম্যাচটি তাদের জন্য কেবলেই নিয়মরক্ষার। তবে এরচেয়ে বড় খবর ইতিহাস গড়ে সুপার এইটে উঠে গেছে চলমান বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সুপার এইটে ওঠায় ২০২৬ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলাও নিশ্চিত হলো তাদের।
সহযোগী দেশ হিসেবে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই এমন সাফল্য পাওয়ার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর কোনো সহযোগী দেশ এমন সফলতা পায়নি। কানাডাকে হারিয়ে শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র পরের ম্যাচে পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারায়। ভারতের বিপক্ষে হারলেও শেষ ম্যাচ দিয়ে সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেঁচে থাকে তাদের।
এই ম্যাচের দিনে বাগড়া দিলো বৃষ্টি, তাতে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তার কারণ ছিল না। বরং ম্যাচটি না হলেই পরের রাউন্ড তাদের জন্য সুনিশ্চিত ছিলো। শেষ পর্যন্ত তাই হলো, একটি বলও মাঠে না গড়িয়ে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলো। বৃষ্টির কারণে লডারহিলে টসও হলো না। বৃষ্টি থামার পর দফায় দফায় মাঠ পর্যবেক্ষণ করলেন আম্পায়াররা। জানানো হলো ম্যাচ শুরুর সময় ও দৈর্ঘ্য। কিন্তু আবারও বৃষ্টি নামায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলো ম্যাচ।
'এ' গ্রুপ থেকে টানা তিন জয়ে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করে ভারত, গ্রুপের শীর্ষ দল তারাই। দুই জয় ও পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচ থেকে পাওয়া এক পয়েন্টসহ মোট পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডের টিকেট পেল যুক্তরাষ্ট্র। তিন ম্যাচে একটিতে জেতা পাকিস্তান তিন নম্বরে। বাকি ম্যাচে জিতলেও তাদের পয়েন্ট হবে চার। তিন ম্যাচে এক জয়ে চার নম্বরে কানাডা। তিন ম্যাচে জয়হীন থাকা আয়ারল্যান্ডের ঝুলিতে এক পয়েন্ট।