ল্যাপটপ বাঁচাতে বুনো শূকরের পেছনে নগ্ন হয়েই দৌড়!
জার্মানির বার্লিনের একটি লেকের ধারে নগ্ন অবগাহনে (নুডিস্ট বাথ) মগ্ন ছিলেন এক ভদ্রলোক। হুট করে বুনো শূকর এসে তার লাপটপ নিয়ে দিলো ভোঁ দৌড়। কী আর করবেন, সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায়ই তাকেও দৌড়াতে হলো শূকরের পিছু!
আশেপাশে থাকা অন্য নারী-পুরুষরা তখন ব্যাপক 'আনন্দ' নিয়ে উৎসাহ দিচ্ছিলেন তাকে। সেই উৎসাহেই কি না, শেষ পর্যন্ত শূকরের কাছ থেকে ল্যাপটপ উদ্ধার করতে পেরেছেন তিনি।
শূকরের পেছনে ওই লোকের পড়িমরি ছুটের কয়েকটি ছবি তুলেছেন ওখানে থাকা এক ফটোগ্রাফার। সেই ছবি পরে দেখিয়েছেনও লোকটিকে। তিনি হাসিমুখেই ছবিগুলো জনসমক্ষে প্রকাশের অনুমতিও দিয়েছেন।
অ্যাডেল ল্যান্ডার নামে একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, 'আমি ছবিগুলো দেখাতেই লোকটা অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন। প্রকাশ করার অনুমতিও দিলেন।'
জার্মানির রাজধানীতে নগ্ন হয়ে সূর্যস্নান করা খুবই জনপ্রিয় ও আইনিভাবে বৈধ চর্চা। স্থানীয়ভাবে এটিকে 'Freikörperkultur' বা 'ফ্রি বডি কালচার' বলে ডাকে।
পার্কে যখন লোকজন দলবেঁধে কিংবা একা নগ্ন সূর্যস্নান করে, তখন বুনো শূকরের হাজির হওয়া সেখানে প্রায় নিয়মিত ঘটনা। কখনো কখনো মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটলেও ল্যাপটপ নিয়ে যাবে, এটা ওই ভদ্রলোক ভাবতেও পারেননি। আসলে ল্যাপটপটা একটা ব্যাগে ছিল। হয়তো খাবার ভেবেই ব্যাগটা নিয়ে দৌড় দিয়েছিল ওই শূকর।
ওই ঘটনার আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মধ্যবয়সী লোকটা তার 'জন্মদিনের পোশাক' পরেই শূকরকে তাড়া করতে করতে বনে ঢুকে গিয়েছিলেন। 'তিনি যখন বন থেকে বেরিয়ে এলেন, সবাই তাকে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছে।'
বার্লিনে বন্যপ্রাণীর অধিকার নিয়ে কাজ করা ডেরেক এলার্ট বলেন, শহরটির লেক ঘেঁষা রিসোর্টগুলোতে বন থেকে বিভিন্ন প্রাণী হরহামেশাই চলে আসে।
'এ ধরনের ঘটনায় মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত না হওয়ার অনুরোধ করব,' বলেন তিনি, 'আমরা এখনো কোনো ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাইনি; কেননা, এই প্রাণীগুলো মানুষ দেখে অভ্যস্ত।'
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান