কোটা বাতিলের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ঢাবি শিক্ষার্থীদের
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধের অংশ হিসেবে শাহবাগ অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পূর্ব ঘোষিত এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে জমায়েত হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে এসে অবস্থান নেয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শাহবাগ হয়ে অন্যান্য রুটে যান চলাচল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড- এর কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শান্তি সমাবেশ শুরু করেছে।
এ সময় কোটা পদ্ধতির পক্ষে যুক্তি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাকির হোসাইন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "আমাদের এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার লড়াই। আজকে কোটা বাতিলের ছদ্মবেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হয়েছে।"
এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে এবং কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০:৩০ মিনিটে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 'এক দফা' দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
এতে করে মহাসড়কের উভয় লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে যানজটে আটকে থাকা সাধারণ যাত্রীরা।
তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলো শিক্ষার্থীদের অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের সমন্বয়কদের ঘোষণা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের আজকের এই অবরোধ কর্মসূচি সূর্যাস্ত পর্যন্ত অর্থাৎ সন্ধ্যা অবধি পালনের কথা রয়েছে।
এছাড়া, আজ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে কোটা ইস্যুতে আপিল শুনানি শিক্ষার্থীদের দাবির বিপক্ষে গেলে দাবি আদায়ে প্রয়োজনে সারাদেশ অচল করে দেওয়ার মত ঘোষণাও দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।