পিএসজি-বায়ার্ন ফাইনাল
ম্যাচের শুরুতে মনে হলো ফরাসি বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণে বায়ার্ন মিউনিখের আক্রমণভাগ কাঁপিয়ে দিল অলিম্পিক লিও। যেখান থেকে মিলতে পারতো অন্তত দুটি গোল। কিন্তু ফিনিশারের অভাবে কপাল পুড়লো দলটির। লিঁওর আক্রমণ সামলে দারুণ এক জয় তুলে নিল বায়ার্ন। যে জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে গেল জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে বুধবার অলিম্পিক লিঁওকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এ নিয়ে একাদশবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠলো শেষ আটে বার্সেলোনার জালে গোল উৎসব করা বায়ার্ন।
শিরোপার লড়াইয়ে বায়ার্নের প্রতিপক্ষ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। নেইমার-এমবাপ্পেদের দলের বিপক্ষে লিজবনে আগামী ২৪ আগষ্ট ফাইনাল খেলবে বায়ার্ন।
বার্সেলোনাকে বিধ্বস্ত করে বায়ার্ন সেমি ফাইনালে উঠলেও তাতে ভরকে যায়নি লিঁও। ম্যাচের শুরুতে ফরাসি দলটির দাপটই দেখা যায়। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত লিঁও। বল নিয়ে বায়ার্নের ডি-বক্সে ঢুকে পড়া মেমফিস ডিপাইয়ের সামনে ছিল কেবল বায়ার্নের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার। কিন্তু ডিপাইয়ের ডানপায়ের শট পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।
১৭ মিনিটে আরও দুটি ভালো আক্রমণ সাজায় লিঁও। কিন্তু এবারও গোল আদায় করে নিতে পারেনি দলটি। তেকো একাম্বির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। লিঁওর আক্রমণ সামলে পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ১৮ মিনিটে কয়েকজন খেলোয়াড়ের বাধা পেরিয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে লিঁওর জালে বল পাঠান জার্মান মিডফিল্ডার সার্গে জিনাব্রি।
দ্বিতীয় গোলের দেখা পেতেও দেরি করতে হয়নি বায়ার্নকে। এবারও জার্মান দলটিকে উৎসবে মাতান জিনাব্রি। ৩৩তম মিনিটে ইভান পেরিসিচের পাস থেকে বল পেয়ে গোলে শট নেন বরার্ট লেভানোডোভস্কি। তার শট ফেরালেও বল হাতে নিতে পারেননি লিঁওর গোলরক্ষক লোপেজ। সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বল জালে পাঠান জিনাব্রি।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধে চলছিল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু লিঁও গোলের দেখা পায়নি। ৮৮ মিনিটে গোল করে বায়ার্নের ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন পোলিশ স্ট্রাইকার নেভানোডোভস্কি।