অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করব: সেনাপ্রধান
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ওয়ান ইলেভেন বা অপারেশন ক্লিন হার্টের মতো কঠোর হবে না।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সেনাবাহিনী প্রধান রাজশাহী সেনানিবাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আমরা সরকারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করব।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকার কিছু সংস্কারমূলক কাজ করছে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছে। এজন্য তারা আমাদের কাছে যে সহযোগিতা চাইবে, আমরা তা করব।'
সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, 'কারো যদি জীবন বিপন্ন হয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অবশ্যই আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয়; অবশ্যই তারা শাস্তির আওতায় যাবেন। কিন্তু অবশ্যই আমরা চাইবো না যে বিচার বহির্ভূত কোনো কাজ হোক তাদের ওপরে, হামলা হোক বা তাদের জীবনের কোনো হুমকি থাকলে তাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। যেই হোক, যেই দলেরই হোক, যে মতেরই হোক, যে ধর্মের হোক, সেটা আমরা করব।'
সেনাপ্রধান আরও বলেন, 'পুলিশের ওপর যেভাবে হামলা হয়েছে তাতে পুলিশ কিছুটা ট্রমার মধ্যে আছে, ট্রমা কাটিয়ে উঠলে পুলিশ তাদের দায়িত্ব আবার সঠিকভাবে পালন করতে পারবে। বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ সম্পূর্ণভাবে কাজ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পুলিশ কনফিডেন্ট হয়ে উঠলে আমরা সেনানিবাসে ফেরত যাব।'
বিশেষ এই পরিস্থিতিতে বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই বলেও মন্তব্য করেন সেনাপ্রধান।
তিনি বলেন, 'এ অবস্থা সবাই বুঝে। তবে মাইনরিটি বিষয় নিয়ে কিছু কিছু কথাবার্তা হয়েছে। ২০টি জেলায় মোট ৩০টি জায়গায় মাইনরিটি রিলেটেড এরকম অরাজকতা হয়েছে। এটাও কাম্য না। যারা এ ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।'
গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, 'এটা অবশ্যই একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরিস্থিতি এখন একদম স্বাভাবিক। তাদের নেতারা এসেছেন, আমাদের সাথে এসেছেন কথা বলেছেন। তবে যারা এই অপরাধ করেছেন, তদন্ত হবে। যারা এই অপরাধের সাথে যুক্ত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।'
এসময় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, আরএমপি কমিশনার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।