যেভাবে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ
বির্তকিত এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ টাকা বানানোর এক অনন্য উপায় আবিষ্কার করেছেন। তার টাকা তৈরির কৌশলের অন্যতম হলো নতুন কোম্পানি তৈরি বা রুগ্ণ কোম্পানি অধিগ্রহণ করা এবং তারপর এসব কাগুজে কোম্পানির নামে শত কোটি টাকার ঋণ নেওয়া।
মাসুদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে, কোনো ব্যাংক তাকে প্রশ্ন করার সাহস করবে না। কারণ অনেক ব্যাংকই তার নিয়ন্ত্রণে। এর জন্য তিনি কৌশলে নিজের লোকদের বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ পদে বসিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, এসব কোম্পানি তার আত্মীয় বা অন্য ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত।
এরকম একটি উদাহরণ হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ থেকে গ্রুপটির প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করা। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৮ কোটি টাকায় মাসুদ সিলভার ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামক একটি রুগ্ণ ময়দার কারখানা অধিগ্রহণ করেছিলেন। ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা এ কারখানার জন্য ৮৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে। এ ঋণ এখন সুদাসলে এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সিলভার ফুডসের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রামে খাতুনগঞ্জের ৩৪৭ জিলানী টাওয়ার। কিন্তু সম্প্রতি তিন দিন খাতুনগঞ্জ ঘুরে ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ ঠিকানায় প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব মেলেনি।
পরে হামিদুল্লাহ মিয়া মসজিদের পাশের একটি ভবনে সিলভার ফুডসের পুরোনো একটি সাইনবোর্ড দেখতে পেয়ে ভবনটিতে গিয়ে দেখা যায়, চতুর্থ তলায় কাচের দরজা আটকানো একটি কার্যালয়। কাচ দিয়ে ভেতরে মাকড়সার জাল দেখা যাচ্ছে।
ভবনটির নিচে কাঁচা পণ্যের আড়তের এক কর্মচারী জানান, চার তলার এ কার্যালয়টি প্রায় সময় বন্ধই থাকে।
ঋণ মঞ্জুরিপত্রে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার মো. মামুনুর রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ঢাকার সবুজবাগের মো. মেহেদী হাসানের নাম রয়েছে। ১০৯ কোটি টাকা মূল্যের দুটি জমি এবং প্রকল্পের যন্ত্রপাতি জামানত রেখে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কোম্পানির চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'ঋণটি আমার নামে। কিন্তু এগুলো আমি দেখাশুনা করি না। আমার নাম ব্যবহার করে একটি প্রভাবশালী শিল্পগ্রুপ এ ঋণ নিয়েছে।'
এ ঋণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আন্দরকিল্লা শাখার প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম টিবিএসকে বলেন, 'দেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী ব্যাংকসহ ৭টি ব্যাংকের ওপর এস আলম গ্রুপের এমন নিয়ন্ত্রণ স্থাপনের নজির বিশ্বের কোথাও নেই।
'অস্তিত্বহীন কিংবা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে হাজার কোটি ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে বোঝা যায়, ব্যাংকটিতে নানা অনিয়ম জেঁকে বসেছে। ইতোমধ্যে ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে প্রায় ৪০-৪৫ হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। এ টাকা ফেরত আনা জরুরি।'
বন্ধ কারখানা, অস্তিত্বহীন কোম্পানি, টিনের দোকানের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ
টিবিএসের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের দখল নেওয়ার পর থেকে ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সাতটি শাখা থেকে ৩৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে পটিয়া উপজেলার মোহাম্মদ ফোরকান এবং কুতুব উদ্দিন ২৭ কোটি টাকায় চট্টগ্রামের মগপুকুর, সীতাকুণ্ডে কেআর ফুডস থেকে একটি ময়দার মিল কিনে এটির নামকরণ করেন আইডিয়াল ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেড।
তারা ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখা থেকে ৯০০ কোটি টাকা ঋণ নেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের ২৩ দিনের মধ্যে এ ঋণ ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে তা সুদাসলে এক হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
মালিকানা পরিবর্তনের পরও কেআর গ্রুপ কিছুদিন কারখানাটি পরিচালনা করে। এরপর এক বছরের বেশি সময় ধরে কারখানাটি সম্পূর্ণ বন্ধ। অর্থাৎ ঋণ গ্রহীতা পক্ষ কখনো কারখানাটি চালাননি।
কাঁচামাল আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণ দেওয়া হলেও কোম্পানিটির কোনো আমদানি-রপ্তানি রেকর্ড নেই। কোনো ব্যবসায়িক পটভূমি নেই এমন ব্যক্তিদের এত বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া হয়েছে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। কুতুব উদ্দিন আগে জমির দালাল হিসেবে কাজ করতেন। অন্যদিকে ফোরকান বেকার ছিলেন।
২০২২ সালে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন মাত্র ১০ লাখ টাকা থাকলেও ১৩২ কোটি টাকার কারখানার জমি এবং যন্ত্রপাতি জামানত দেখিয়ে এ ঋণ নেওয়া হয়েছিল।
২০২১ সালে ইসলামী ব্যাংকের চাক্তাই শাখা ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইম্পেক্স লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়। পরে কোনো টাকা পরিশোধ না করা সত্ত্বেও ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ তা এক হাজার ৬৩০ কোটি টাকায় বাড়ানো হয়।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৫৯২ কোটি টাকা মূল্যের জমি জামানত রেখে এ ঋণ প্রতিবছর নবায়ন করা হয়েছে, যদিও ব্যাংকের শাখা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এসব জমির মূল্য বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের চাক্তাই শাখা কোভিড-১৯ প্রণোদনার তহবিল থেকে ইনহেরেন্ট ট্রেডিংকে ১৯০ কোটি টাকা দিয়েছে।
২০১৭ সালে নিবন্ধিত সানমুন ট্রেডার্সের নাম পরিবর্তন করে ২০২০ সালে ইনহেরেন্ট ট্রেডিং অ্যান্ড ইমপেক্স লিমিটেড করা হয়। আসাদগঞ্জের রামজয় মহাজন লেনে ঠিকানা দেখানো প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে জিয়াউল কবির চৌধুরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে আনছারুল আলম চৌধুরীর নাম রয়েছে।
তবে গত তিনদিন আসাদগঞ্জের রামজয় মহাজন লেনে গিয়ে এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাননি এ প্রতিবেদক। এমনকি ওই সড়কের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ প্রতিষ্ঠানের নামও শোনেননি।
একাধিক ব্যাংকে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনছারুল সাইফুল আলম মাসুদের ফুফাতো ভাই। এক হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ পাওয়া সত্ত্বেও আনছারের সম্প্রতি একটি ব্যাংক হিসাব খোলার আবেদনে মাসিক আয় মাত্র দুই লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জিয়াউল কবির চৌধুরীর কোনো ধরনের ব্যবসার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামে অবস্থিত মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ ইসলামী ব্যাংকের চাক্তাই শাখা থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এক হাজার ৫৪ কোটি টাকা ঋণ পায়। কোনো ধরনের টাকা পরিশোধ ছাড়াই প্রতিবছর নবায়ন হচ্ছে ঋণটি।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী, পটিয়ার বাসিন্দা গোলাম সারোয়ার চৌধুরীর (ওরফে মুরাদ) নেওয়া ঋণটির জামানত হিসাবে স্থায়ী আমানতের রশিদে ২৭০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছিল।
প্রায় হাজার কোটি ঋণ নিলেও প্রতিষ্ঠানটির কোনো আমদানির তথ্য পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জ মসজিদের ৫০ গজ পূর্বেই মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ। প্রায় ৩০০ বর্গফুটের দোকানটির পুরো জায়গাই খালি। এমনকি ব্যাংকের হিসাবে যে বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বরটি (বিন) ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও ভুয়া।
স্থানীয়রা মনে করছেন, কোম্পানির ট্রেড-ইন ঢেউটিনের ব্যবসা করতে এত বড় অঙ্কের ঋণের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কোনো ভারী শিল্প বা কারখানাও নেই।
ব্যাংকের কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস উইংসের তৎকালীন প্রধান মিফতাহ উদ্দিন এ ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
৪ শাখা থেকে ২৯ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ঋণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ২৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পেয়েছে।
এর মধ্যে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল ও এস আলম স্টিলস মিলকে ১০ হাজার ৮৩ কোটি টাকা, এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডকে তিন হাজার ৯৬৮ কোটি টাকা এবং এস আলম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডকে তিন হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
ঋণ পাওয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড (এক হাজার ৩৫৬), আদিল কর্পোরেশন (এক হাজার ৭৮৯ কোটি), সাদিয়া ট্রেডার্স (৯৮৪ কোটি) এবং সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস (এক হাজার ৪২১ কোটি)।
অভিযোগ রয়েছে, এস আলম গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা অর্জনের আগে শাখা কর্মকর্তাদের সহায়তায় এ শাখা থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করে। এসব ঋণের সঙ্গে জড়িত প্রধান ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মাসুদ ও তার আত্মীয়-স্বজনেরা।
খাতুনগঞ্জ শাখা ছাড়াও গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংকের জুবিলি রোড শাখা থেকে দুই হাজার ৯২২ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে, যার মধ্যে ইউনাইটেড সুপার ট্রেডের জন্য এক হাজার ৮৪ কোটি টাকা এবং কর্ণফুলী ফ্লাওয়ার মিলের জন্য এক হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা রয়েছে।
গ্রুপটি ইউনিটেক্স কম্পোজিট স্পিনিং ও ইউনিটেক্স এলপিজির জন্য ওআর নিজাম রোড শাখা থেকে দুই হাজার কোটি টাকা এবং ইউনিটেক্স স্টিলের জন্য পাহাড়তলী শাখা থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে।
এর বাইরে এস আলম গ্রুপ ভিআইপি রোড, নবাবপুর ও গুলশান-১ শাখাসহ অন্যান্য শাখা থেকে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, 'ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীসহ সারাদেশের বিভিন্ন শাখা থেকে কমপক্ষে ৪০ হাজার কোটি নিয়ে গেছে এস আলম। এসব ঋণ প্রদানে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি।'
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'এসব ঋণ নিতে দেখানো জামানত যাচাইয়ের কোনো সুযোগ বা সাহস ছিল না ব্যাংক কর্মকর্তাদের। কোনো টাকা পরিশোধ না করা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ঋণ নবায়ন করা হয়েছ।'
ব্যাংক নিয়োগ, অনিয়ম
এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে সাইফুল আলমের আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের নিয়োগ করা হয়। এ কারণে গ্রুপটির পক্ষে উল্লেখযোগ্য ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের আগে খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে গ্রুপটির মোট ঋণ ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকা।
পদায়ন করা কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন। ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে মাত্র ক্যাশিয়ার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এ কর্মী এখন দেশের শীর্ষ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা। আরেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিনও তার সমবয়সীদের তুলনায় অস্বাভাবিক দ্রুত পদোন্নতি পেয়েছেন।
খাতুনগঞ্জ শাখার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কায়সার আলী ও ডিএমডি মোহাম্মদ শাব্বিরের বিরুদ্ধে একই ধরনের অনিয়মিত পদোন্নতির অভিযোগ রয়েছে। বৃহৎ ঋণ বিতরণকারী শাখাগুলো এ ধরনের পদোন্নতিসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ইসলামী ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে ঋণ বিতরণে অনিয়ম তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মন্তব্যের জন্য ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মাওলা এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এসএ মাসুদ, নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক ও মহাব্যবস্থাপক মো. আখতার হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন নামে ও নিয়ম লঙ্ঘন করে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এস আলম গ্রুপের প্রধান ভূমি কর্মকর্তা মোস্তাইন বিল্লাহ আদিল বলেন, 'আমি এখন ব্যস্ত, কথা বলতে পারছি না। আমি আপনাকে পরে কল করব।'