ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নির্মাণের অল্প দিনেই সংস্কার, ৭৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন
ঢাকা চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক তৈরির অল্প সময়ের মধ্যেই সংস্কার কাজে ৭৯৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শেষ করার পর মাত্র সাত মাসের মাথায় মহাসড়কটির সংস্কার শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ এই অনুমোদন দিল একনেক।
এছাড়াও সারাদেশে সড়ক উন্নয়নে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকার আরও ১২ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের এই মহাসড়কটি নির্মাণের মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। বাজেট ধরা হয় ১৬৯৯ কোটি টাকা।
এক দশক পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয় ১৯২.৩০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের এই মহাসড়ক নির্মাণের কাজ। খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬০০ কোটি টাকা।
তবে নির্মাণের সাত মাসের মধ্যেই সড়কটিতে দেখা দেয় গর্ত আর খানা-খন্দ।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ-প্রক্রিয়া আর অতিরিক্ত ভারবাহী যানবাহনকে দায়ী করে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয় এই মহাসড়কের বিভিন্ন অংশের সংস্কার কাজ।
কিন্তু এ ধরণের সংস্কার কাজের মাধ্যমে সাময়িকভাবে মহাসড়কের অবস্থা কিছুটা হলেও সহনীয় হলেও কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই এর অবস্থা আবারও আগের মতই হয়ে যায়।
এরই প্রেক্ষিতে আজ ৭৯৩ কোটি টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন দিল একনেক। এ বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে সড়কটির সংস্কারের জন্য এই ব্যয় ধরা হয়েছে।
এছাড়াও সারা দেশের বিভিন্ন সড়ক রক্ষায় ওভারলোড বা অতিরিক্ত ভারবহন প্রতিরোধে ২১ টি স্টেশনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যার জন্য আজ একনেকের সভায় ১৬৩০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নেয়া হয়েছে পৃথক প্রকল্প।
সভা শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, আজ ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরে মোট ১২টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫৩২৬ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ও অবশিষ্ট ৯০৭ কোটি টাকা বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে কুড়িগ্রাম (দাসের হাট)-ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ককে জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৮৫ কোটি টাকা।
ভুয়াপুর-তারাকান্দি জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩০৭ কোটি টাকা।
পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরে প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
অনুমোদন পাওয়া নরসিংদী জেলা কারাগার নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩২৭ কোটি টাকা। মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৬৮৮ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ৩৫৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব-স্কাউটিং সম্প্রসারণ প্রকল্প, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যঅলয়ের আধুনিকায়নের জন্য ৪৫২ কোটি, সিলেট গ্যাস টারবাইন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রকে ২২৫ মেগাওয়াটে উন্নীত করতে ৯১০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।