ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার
এবার উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি এবং ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সই করা প্রজ্ঞাপনে ২০২৪ সালের জন্য সংশ্লিষ্টদের এ দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রতি কেজি সোনালি মুরগির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা এবং প্রতি পিস ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ১৬৯ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কয়েকদিন পরপর ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি পিস ডিমের দাম ১৩ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা।
এছাড়া, ঢাকার খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে।
তবে ডিমের বাজারে অস্থিরতা থাকলেও ব্রয়লারের দাম কয়েক মাস ধরে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জানিয়েছে, গত এক মাসে ডিমের দাম হালিপ্রতি ৮% এর বেশি বেড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী ফেনী-নোয়াখালি অঞ্চলের বন্যায় খামারের উৎপাদন কমে যাওয়াকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছে।
অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামত নেয়া হয়েছে দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে।
এর আগেও ডিমের দাম বেধে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সে সময়ও প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বাজারে এর খুব বেশি প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। তাই সরকার কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়, তবে সেগুলো থেকে মাত্র কয়েক লাখ পিস ডিম আমদানি করা হয়।
এ বছরও সপ্তাহখানেক আগে কয়েক লাখ ডিম আমদানি হয়। তবে বাজারে এর খুব বেশি প্রভাব পড়েনি।