নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যরাই সিদ্ধান্ত নিবেন কী পরিবর্তন দরকার: মির্জা ফখরুল
সংবিধান বাতিল হবে নাকি সংস্কার হবে তা নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট গঠনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, "যেকোনো সংস্কার, পরিবর্তন জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। পরিবর্তনের জন্য দরকার পার্লামেন্ট, সে জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যারা পার্লামেন্টে যাবেন তারাই সিদ্ধান্ত নিবেন কি পরিবর্তন দরকার, কোন পরিবর্তন দরকার, সংবিধান বাতিল হবে নাকি সংস্কার।"
আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট : উচ্চকক্ষের গঠন' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জেএসডি । এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলো ধ্বংস করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, "আমাদের ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিজয়ের মাধ্যমে স্বপ্ন গুলো নস্যাৎ করতে ইতোমধ্যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বে আছেন, তারা যখন বলেন, 'দল তৈরি করতে হবে' এটা বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। এ অধিকার তাদেরকে কে দিয়েছে, অনুমতি কে দিয়েছে, এ দায়িত্ব পেলেন কোথায়?"
একটি গোষ্ঠী এই সরকারকে দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, "তাহলে তো নির্বাচন, পার্লামেন্টের দরকার নাই।"
একটি গণমাধ্যমে জরিপ প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, "পত্রিকাটি লিখেছে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ চায়, যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। আমি জানি না, এই কথা গুলো তারা কোথায় থেকে পেলো? জনগণ এটাতো মেনে নেবে না। এই ধরনের রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভাবা উচিত, কোন ধরনের বিভ্রান্ত সৃষ্টি না হয় সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে।"
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট - হয়রানিমূলক মামলা আছে সেগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলনে যারা পঙ্গু, শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।