কিশোরগঞ্জে জশনে জুলুস নিয়ে আহলে সুন্নত-ওলামা পরিষদ সংঘর্ষ, নিহত ১
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিল্লাদুন্নবী (সা.) এর জশনে জুলুসের শোভাযাত্রার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মীর মিলন (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ছয়সূতি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
নিহত মিলন ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জুতার ব্যবসা করতেন। তবে তিনি কোন পক্ষের সমর্থক ছিলেন– সেটি স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদে মিল্লাদুন্নবী উপলক্ষে সোমবার সকালে ছয়সূতী বাজার এলাকায় জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা কর্মসূচি আহ্বান করে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। তবে এটির বিরোধীতা করে একই সময় পৃথক কর্মসূচির ডাক দেয় ইমাম ওলামা পরিষদ। এনিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আলাদা আলাদা সময়ে কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর প্রেক্ষিতে, আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা বের করে। তবে শোভাযাত্রা থেকে কয়েকজন ছয়সূতি বাজারের একটি মসজিদে হামলায় চালায়। এ ঘটনায় ইমাম-ওলামা পরিষদপন্থীরা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে মীর মিলনকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামায়।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, 'আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতকে শোভাযাত্রা করার জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। আর ইমাম-ওলামা পরিষদ নেতৃবৃন্দকে দুপুর ১টার পর তাদের কর্মসূচি পালনের সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তবে আহলে সুন্নতের শোভাযাত্রা থেকে একটি গ্রুপ মসজিদে হামলা চালায়। এনিয়ে দু'পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। এতে মিলন নামে এক জুতা ব্যবসায়ী নিহত হন।'
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান জানান, 'নিহত মিলনকে দুই পক্ষই তাদের সমর্থক বলে দাবি করছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যামামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে জড়িতের গ্রেপ্তার করবে।'