রোমাঞ্চকর জয়ে সমতায় ইংল্যান্ড
লক্ষ্য খুব একটা বড় ছিল না। আবার শুরুটাও ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। যদিও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস ল্যাবুশেনের ব্যাটে চাপ সামলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওয়ানডে জেতা অজিরা জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। ইংল্যান্ডের পেসারদের দারুণ বোলিংয়ে ছত্রখান অজিদের ব্যাটিং লাইন আপ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে ইংলিশরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচটি ছিল স্বাগতিকদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। হারলে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়াতে হতো তাদের। এমন ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনল ইংল্যান্ড। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত হবে।
ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা ইংল্যান্ড বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। ইংলিশ কোনো ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। ৯ উইকেটে ২৩১ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে জবাবে ফিঞ্চ ও ল্যাবুশেনের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ রানে ২ উইকেট হারালেও সেই চাপ সামলে নেন অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস ল্যাবুশেন। কিন্তু তাদের শতরানের জুটি ভাঙতেই ওলট-পালট হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। ২২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় তারা। এখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় যায় অজিরা। ফিঞ্চ ৭৩, ল্যাবুশেন ৪৮ ও ক্যারে ৩৬ রান করেন। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস, জফরা আর্চার ও স্যাম কারান ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন আর্চার।
এরআগে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের শুরুটাও ভালো ছিল না। ২৯ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় তারা। এরপর জো রুট ও অধিনায়ক ইয়ইন মর্গান হাল ধরলেও বেশি পথ পাড়ি দিতে পারেননি। রুট ৩৯ ও মর্গান ৪২ রান করেন। এ ছাড়া ক্রিস ওকস ২৬, টম কারান ৩৭ ও আদিল রশিদ ৩৫ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডম জ্যাম্পা ৩টি এবং পেসার মিচেল স্টার্ক ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৩১/৯ (রয় ২১, রুট ৩৯, মর্গ্যান ৪২, ওকস ২৬, টম কারান ৩৭, রশিদ ৩৫*; স্টার্ক ২/৩৮, হ্যাজেলউড ১-২৭, জ্যাম্পা ৩/৩৬)।
অস্ট্রেলিয়া: ৪৮.৩ ওভারে ২০৭ (ফিঞ্চ ৭৩, লাবুশেন ৪৮, ক্যারে ৩৬; ওকস ৩/৩২, আর্চার ৩/৩৪, স্যাম কারান ৩/৩৫)।
ফল: ইংল্যান্ড ২৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: জফরা আর্চার (ইংল্যান্ড)।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা।