এনবিআরের অটোমেশনের দুর্বলতা, চেয়ারম্যান নিজেই করতে পারলেন না ই-রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রেভিনিউ (এনবিআর) দীর্ঘদিন ধরে অটোমেশন নিয়ে বিস্তর কথা বলে এলেও বাস্তবে তার অগ্রগতি খুব সামান্য। তার প্রমাণ দিয়েছেন খোদ এনবিআরের নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
মোবাইলফোনের বায়োমেট্রিক সমস্যার কারণে এবার এবং গত বছর, দুবারই ই-রিটার্নের জন্য নিবন্ধন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে করদাতাদের জন্য অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন-সংক্রান্ত সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, 'গত বছর আমি নিজেই ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে ফেল করেছি। আমার স্ত্রী ও একই অভিজ্ঞতা ফেস করেছেন। এবারও একই অবস্থা হয়েছে।'
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'এর অন্যতম কারণ ছিল মোবাইল ফোনের বায়োমেট্রিক সমস্যা। এটি কীভাবে সমাধান করা যায়, তার জন্য মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে কথা বলতে আমি নির্দেশনা দিয়েছি।'
এছাড়া অটোমেশনের ক্ষেত্রে আরও কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, সেসব দূর করার জন্যও উপস্থিত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে এনবিআরের অনলাইনে নিবন্ধন ও ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে বহু আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু এর অগ্রগতি খুব সামান্য।
বর্তমানে দেশে ট্যাক্সপেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার হোল্ডার বা টিআইএন হোল্ডারের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লাখের ওপরে। সেখানে রিটার্ন জমা হয় ৪০ লাখের মতো। এর মধ্যে মাত্র চার লাখ অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।
সোমবার এই সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে গিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান নিজেও কর্মকর্তাদেরকে এই কার্যক্রম আরও সহজ করার লক্ষ্যে বিদ্যমান বাধা অপসারণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ই-টিআইএন সংক্রান্ত সেবা কার্যক্রমটিতে সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগশনের হেড অভ কোঅপারেশন মিখাল ক্রেজা আশা প্রকাশ করে বলেন, এ বছর ১০ থেকে ১৫ লাখ করদাতা অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর ফাঁকিবাজদের বিষয়ে মাঠপর্যায় থেকে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
তবে জনবল সংকটের কারা কারণে এখনই বড় আকারে 'ড্রাইভ দেওয়া' সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এ সময় এনবিআরের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।