বিশ্বমারির সংবাদ: সংক্রমিত ৩ কোটির দ্বারপ্রান্তে, নভেম্বরের মধ্যেই টিকা আনছে চীন
অতিমারি আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে প্রায় ৩ কোটি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নাগাদ এ সংখ্যা নানা দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের আক্রান্তদের শনাক্ত করার ভিত্তিতে দেওয়া।
এরমধ্যেই চীনের একজন জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন যে, তারা দ্রুতই বাজারে করোনার টিকা আনতে চলেছেন। এবং খুব সম্ভবত নভেম্বরেই তা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে।
মঙ্গলবার জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ট্র্যাকার সূত্রে জানা যায়; মহামারি শুরুর পর থেকে আজ পর্যন্ত পুরো বিশ্বে দুই কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ২৭ হাজার ২৪৫ জনে। আগামী অক্টোবরে প্রাণহানি ১০ লাখ অতিক্রম করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মৃতের সংখ্যা এবং সংক্রমিতের সংখ্যা সম্পর্কে অনেক দেশের সরকার প্রকৃত তথ্য দেয়নি। তাই সার্বিক সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে। তাছাড়া, সংক্রমণ শনাক্তে বিভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতি এবং আক্রান্ত চিহ্নিতকরণে; তারা নানা সংজ্ঞাও ব্যবহার করে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
পরীক্ষার ফলাফল আসতে দেরি হওয়া এবং কিছু দেশের ইচ্ছে করেই অনেক কম সংখ্যা দেখানোর রাজনৈতিক অসাধুতাও প্রধান বাঁধা- প্রকৃত অবস্থা জানার ক্ষেত্রে।
এসব কিছু মধ্যেই সুসংবাদ হলো, চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের জৈব-নিরাপত্তা শাখার প্রধান উ গুইঝেন এর বক্তব্য। তিনি জানান, সফল পরীক্ষার পর আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরে করোনার টিকা বাজারে আনা হবে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি'কে গুইঝেন বলেন, ''দ্রুত ভ্যাকসিন আসা নিয়ে আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী। এপর্যন্ত গবেষণা প্রক্রিয়া খুবই চমৎকারভাবে এগিয়ে চলেছে। এনিয়ে খুব একটা বাঁধার মখে পড়েননি আমাদের বিজ্ঞানীরা।''
চীন হচ্ছে বিশ্বের শীর্ষ ভ্যাকসিন উৎপাদক। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যে ৩০টি প্রার্থী ভ্যাকসিনের গবেষণা চলছে, তার মধ্যে ৯টিই চীনের। নাকের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে এমন একটি প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টাও চলছে সেখানে।
অন্যদিকে, ভ্যাকসিন সংগ্রহের দৌড়ে এগিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। আজ দেশটির প্রধানমন্ত্রী চুং সুয়ে-কিউন জানান, তার সরকার মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ বা ৩ কোটি লোকের জন্য করোনার সম্ভাব্য টিকার প্রাথমিক চালান কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি নিজ মন্ত্রীসভার সদস্যদের এ সিদ্ধান্তের সামনে কথা জানান।
এর আগে গত আগস্টে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) টিকা জোট কোভাক্স- এ যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বের সকল দেশের অধিক ঝুঁকিপ্রবণ মানুষের কাছে করোনার সমতার ভিত্তিতে টিকা পৌঁছে দিতে এ জোট গঠন করে হু।