দুদক সংস্কারের সুপারিশ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে: ইফতেখারুজ্জামান
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সোমবার (৭ অক্টোবর) টিআইবি কার্যালয়ে কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সংস্কার কমিশনের প্রধান।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "দুদক রাজনৈতিক প্রভাব এবং আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি রয়েছে। আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের প্রভাব থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে মুক্ত করতে হবে।"
টিআইবি প্রধান জানান, সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই। এজন্য আইনের যেসব ধারা বা বিধি নিয়ে কমিশনের আপত্তি আছে সেসব সংস্কার করা হবে।
এছাড়া, সুপারিশ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া হবে বলেও জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এর আগে জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বিচার বিভাগ, পুলিশ ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে পৃথক পাঁচটি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই ৫ কমিশন গঠন করে ৩ অক্টোবর পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
পৃথক গেজেটে বলা হয়েছে, ৩ অক্টোবর কমিশন কাজ শুরু করবে এবং ৯০ দিনের মধ্যে সংস্কারের সুপারিশ করবে।
এর মধ্যে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ছাড়াও কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— সাবেক কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম, সোয়াস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধ্যাপক মোস্তাক খান, ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।