সাকিবকে দেশ থেকে বিদায় দেওয়ার আশা ছাড়ছেন না শান্ত
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তার দেশে ফেরা হয়নি সাকিব আল হাসানের। বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েও দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে হয় তাকে। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের দেশে আসার খবরে বিক্ষোভ হওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে দেশে না আসার পরামর্শ দেয় সরকার। ভবিষ্যতে এই অবস্থার উন্নতি হবে, এমন নিশ্চয়তাও নেই। তবে দেশের ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারকে ঘরের মাটি থেকে বিদায় নেওয়ার আশা ছাড়ছেন না নাজমুল হোসেন শান্ত।
ভারত সফরে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব। জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে খেলবেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। নিরাপত্তাজনিত কারণে শুরুতে তার দেশের মাটিতে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও তা কেটে যায়। সাকিবকে নিয়েই প্রথম টেস্টের দল ঘোষণা করে বিসিবি। বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে দলে নেওয়ার খবরের পর বাড়ে উত্তেজনা। মিরপুর স্টেডিয়ামের দেয়ালে বিরুদ্ধ বার্তা লেখাসহ তাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিসিবিতে স্মারকলিপি জমা দেয় মিরপুরের ছাত্রজনতা নামের একদল আন্দোলকারী।
এমন অবস্থা তৈরি হওয়ায় সাকিবকে দেশে আসার সুবজ সঙ্কেত দেয়নি সরকার। বিদায়ী মঞ্চ প্রস্তুত থাকার পরও দেশে আসা হয়নি সাকিবের। তবে ভবিষ্যতে তাকে দেশ থেকেই বিদায় দিতে পারবেন, এমন আশা শান্তর। বাংলাদেশ অধিনায়ক এটাও মনে করালেন শেষ টেস্ট খেলেননি মানে অবসর নেননি সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় জানানোর প্রশ্নে শান্ত বলেন, 'রিটায়ার তো করেন নাই, তাহলে তো আশা করতেই পারি (দেশ থেকে বিদায়)।'
ঘরের মাঠে সাকিবের শেষ টেস্ট খেলতে না পারা বা দেশে ফিরতে না পারার ব্যাপারটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন শান্ত। তবে ম্যাচের আগের দিন বিষয়টি নিয়ে বেশি কথা বলতে চাইলেন না তিনি, 'কীভাবে দেখছি… যেটা বললাম, দুর্ভাগ্যজনক… হওয়া উচিত ছিল (মিরপুর থেকে সাকিবের বিদায়)। তবে আমরা সবাই জানি, কেন হয়নি। এটা নিয়ে আসলে টেস্ট ম্যাচের আগের দিন বেশি কথা আর এগোতে চাই না। আমি চাই, সবাই খেলাটায় মনোযোগ রাখুক।'
জাতীয় দলে খেলার পাশাপাশি সংসদ সদস্যও ছিলেন সাকিব। গত জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। গত আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় নাম আসে সাকিবের, তাকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়। ছাত্র আন্দোলনে নিরব ভূমিকায় থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সমালোচিত হয়ে আসছেন তিনি। গত জুনের পর দেশে ফেরেননি ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।