শেষ রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ, অমিত শাহর কাছে ভারতে থাকতে দেওয়ার অনুরোধ তসলিমার
ভারতে থাকার অনুমতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে আবেদন জানিয়েছেন নির্বাসিত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে অমিত শাহকে ট্যাগ করে তসলিমা লিখেছেন, 'প্রিয় অমিত শাহজি, নমস্কার। আমি ভারতে থাকি, কারণ আমি এই মহান দেশকে ভালোবাসি। গত ২০ বছর ধরে ভারত আমার দ্বিতীয় বাড়ি। কিন্তু গত ২২ জুলাই থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমার রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ বাড়াচ্ছে না। আমি খুব চিন্তিত। আপনি আমাকে থাকতে দিলে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হব। উষ্ণ অভ্যর্থনা আন্তরিক শুভেচ্ছা।'
বর্তমানে দিল্লিতে বসবাস করেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। ইসলামবিরোধী ও নারীর সমতা নিয়ে লেখালেখির কারণে কট্টরপন্থীদের সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্কের কারণে 'লজ্জা' (১৯৯৩) ও আত্মজীবনী 'আমার মেয়েবেলা'সহ (১৯৯৮) তসলিমার কয়েকটি বই নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ সরকার।
এরপর তিনি সুইডেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১০ বছর নির্বাসিত জীবন কাটান।
২০০৪ সালে তসলিমা কলকাতায় আসেন এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত সেখানে থাকেন। তবে 'দ্বিখণ্ডিত' নিষিদ্ধ হওয়ার পর কলকাতা ছাড়েন।
এরপর তিনি তিন মাস দিল্লিতে ছিলেন। সেখানে শারীরিক আক্রমণের শিকার হলে তাকে গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। তবে ২০০৮ সালে তাকে ভারত ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে হয়। কয়েক বছর পর তিনি আবার ভারতে ফেরেন।
এর আগে ২০১৭ সালে একবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তসলিমার রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল।