ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে যা বলেছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর অধীনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে গতকাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
আজ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, 'ছাত্রলীগের হেলমেট বাহিনী, হকিস্টিক ও পুলিশের পোশাক পরে হামলার ঘটনা সবাই জানেন।'
নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে শুরু করে যতগুলো ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জুলাই আন্দোলনে তৎকালীন দলীয় সরকার বলেছিল যে, আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। 'তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।'
'আদালতের রায়ে [ছাত্রলীগ কর্তৃক] বেশ কিছু হত্যার বিষয় প্রমাণিত হয়েছে। আবরার ফাহাদ এবং বিশ্বজিৎ হত্যার কথা আমরা ভুলতে পারি না। এগুলো চোখের সামনেই ঘটেছে। এমনকি ৫ আগস্টের পরও তারা তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে,' বলেন উপদেষ্টা।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে দেখা গেছে, জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা এবং রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার কারণে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।'
'অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিষিদ্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়টি আমাদের উপদেষ্টা পরিষদে আলোচিত হয়নি। তবে এক মাস আগে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়েছিল, যদিও আদালত সেটি খারিজ করে দিয়েছেন।'
সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেন, যেখানে গণহত্যা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 'সে মামলার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। নির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতে সেগুলোর বিচার হবে।'
সামনের দিনগুলোতে গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কেউ পলাতক থাকলেও তাদের বিচার বন্ধ হবে না, এটি অব্যাহত থাকবে।'