ফলো অনে পড়ে ইনিংস হার এড়ানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাজেভাবে হারার পর দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আরও করুণ দশা হয়েছে ঘরের মাঠের দলটির। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশার শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। দলীয় ১৫ রানে ফিরে গেছেন বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক। ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬ রান। ইনিংস হার এড়াতে আরও ৪০০ রান করতে হবে তাদের। মাহমুদুল হাসান জয় ৪ ও জাকির হাসান ১ রানে ব্যাটিং করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, ডেন প্যাটারসন, কেশব মহারাজদের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারছেন না। মনে হতে পারে, চট্টগ্রামের উইকেটে ব্যাটিং করাটা হয়তো কঠিন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দিতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের কথা। তিন সেঞ্চুরি ও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে এটাও মনে হতে পারে যে, উইকেটের চরিত্র হয়তো বদলে গেছে। আদতে তেমন নয়। টেস্ট ম্যাচে তৃতীয় দিনে উইকেট যেমন থাকে কিংবা চট্টগ্রামের উইকেট সব স্বাভাবিকভাবে যেমন হয়; তেমনই আছে। ব্যর্থতা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদেরই, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস অবশ্য আরও অল্প রানে শেষ হতে পারতো। ৪৮ রানেই ৮ উইকেট হারায় তারা। এখান থেকে হাল ধরে নবম উইকেটে ১৭২ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। ১১২ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন মুমিনুল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে বোলার তাইজুলের ব্যাট থেকে, বিপর্যয়ের মাঝেও ৯৫টি বল মোকাবিলা করেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ওপেনার জয় ১০ রান করেন। বাকি ৮ ব্যাটসম্যানের কেউ দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার রাবাদা ৯ ওভারে ৩৭ রানে ৫টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান প্যাটারসন ও মহারাজ। একটি উইকেট নেন সেনুরান মুথুসামি।