'ডিজিটাল অ্যারেস্ট': ভারতের যে স্ক্যামের কবলে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন ভুক্তভোগীরা
আগস্ট মাসের এক ভয়াবহ সপ্তাহে ভারতের একটি শীর্ষ হাসপাতালের ৪৪ বছর বয়সী নিউরোলজিস্ট রুচিকা ট্যান্ডন একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের তদন্তের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তবে, এটি ছিল একটি বড় প্রতারণা— একটি প্রতারণার জাল, যেখানে প্রতারকরা তার প্রতিটি পদক্ষেপকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং তার ও তার পরিবারের জীবনের সমস্ত সঞ্চয় হাতিয়ে নেয়।
"ডিজিটাল অ্যারেস্ট" বা ডিজিটাল গ্রেপ্তার নামক নতুন একটি শব্দ তৈরি করে প্রতারকরা রুচিকাকে কাজ থেকে ছুটি নিতে, তার দৈনন্দিন স্বাধীনতা ত্যাগ করতে এবং অজানা ফোন কল থেকে অবিরাম পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা মেনে চলতে বাধ্য করে। তাকে বলা হয়েছিল, তিনি একটি গুরুতর তদন্তের কেন্দ্রে আছেন।
"ডিজিটাল অ্যারেস্ট" প্রতারণার ধরন হলো— প্রতারকরা ভিডিও কলের মাধ্যমে আইন-প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের মতো আচরণ করে। তারা ভুক্তভোগীদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয় এবং বড় অঙ্কের টাকা অন্যত্র ট্রান্সফার [স্থানান্তর] করতে চাপ দেয়।
ডা. রুচিকা ট্যান্ডনের ক্ষেত্রে প্রতারকরা তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রায় ২৫ মিলিয়ন রুপি (৩ লাখ ডলার) ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড, পেনশন ফান্ড এবং জীবন বিমার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। তার এবং তার পরিবারের এত বছরের সঞ্চয় এক দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে নিমিষেই হারিয়ে যায়।
রুচিকা একা নন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে "ডিজিটাল গ্রেপ্তার" প্রতারণার ফলে ভারতে ১.২ বিলিয়ন রুপি লোকসান হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আসলে বাস্তব ক্ষতির মাত্র একটি ছোট অংশ, কারণ অনেক ভুক্তভোগীই এমন অপরাধ রিপোর্ট করেন না। চুরি হওয়া টাকা প্রায়ই বিদেশি অ্যাকাউন্ট বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে স্থানান্তরিত হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, ৪০ শতাংশের বেশি প্রতারণা মিয়ানমার, কম্বোডিয়া এবং লাওস থেকে হয়।
প্রতারণার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, অক্টোবর মাসে তার মাসিক রেডিও ভাষণে এই প্রতারণা নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মোদি বলেন, "যখনই এমন কোনো ফোন কল পাবেন, ভয় পাবেন না। আপনাদের জেনে রাখা উচিত, যে কোনো তদন্তকারী সংস্থা কখনোই এমনভাবে ফোন কল বা ভিডিও কলের মাধ্যমে তদন্ত করে না।"
ভারত এর আগে ভুয়া বিনিয়োগ, ট্রেডিং বা ডেটিং স্ক্যামের মতো বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধের মুখোমুখি হয়েছে । কিন্তু 'ডিজিটাল অ্যারেস্ট' বিশেষভাবে জটিল এবং ভয়াবহ একটি প্রতারণা। এটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে পরিকল্পিত, নিষ্ঠুর এবং একজন ভুক্তভোগীর দৈনন্দিন জীবনের সবকিছুকে প্রভাবিত করে।
প্রতারকরা কখনও ভিডিও কলে নিজেদের পরিচয় দেন, আবার কখনও তারা শুধু অডিওর মাধ্যমে কথা বলে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখেন। এই প্রতারণা চক্র একেবারে এক রহস্যময় বলিউড থ্রিলারের মতো, তবে এটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত।
প্রতারকরা ডা. রুচিকা ট্যান্ডনকে প্রথম যেদিন ফোন করেছিল, তারা নিজেদের ভারতীয় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করে। তারা বলেছিলেন, তার [রুচিকা] নম্বরটি "২২টি অভিযোগ" পাওয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন করা হবে; তার নম্বর থেকে হয়রানিমূলক বার্তা পাঠানোর অভিযোগ আনা হয়।
তারপর, কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেকে একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা দাবি করা এক ব্যক্তি রুচিকার সাথে কথা বলা শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রুচিকা তার মায়ের সঙ্গে যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নারী ও শিশু পাচারের জন্য অর্থ পাচার করছেন।
এসময় ফোনের অন্য পাশ থেকে বহুকন্ঠে শোনা যাচ্ছিল, "তাকে গ্রেপ্তার করো, গ্রেপ্তার করো।"
নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি রুচিকাকে হুমকি দিয়ে বললেন, "পুলিশ পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসবে আপনাকে গ্রেপ্তার করতে। সমস্ত পুলিশ স্টেশনকে সতর্ক করা হয়েছে।"
সেসময়ের কথা মনে করে রুচিকা বলেন, "আমি রেগে গিয়েছিলাম এবং হতাশও হয়েছিলাম। আমি বারবার বলছিলাম,এটা হতে পারে না।"
পুলিশ কর্মকর্তা কিছুটা নরম হলেন, তবে শর্তসহ। তিনি বললেন, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) বিষয়টির দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে, কারণ এটি "জাতীয় গোপনীয়তার বিষয়"।
তিনি রুচিকাকে বলেন, "আমি কথা বলে তাদের বোঝাতে চেষ্টা করব, যাতে তোমাকে সরাসরি হেফাজতে না নেয়। কিন্তু তোমাকে অবশ্যই ডিজিটাল হেফাজতে থাকতে হবে।"
রুচিকা ট্যান্ডন একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতেন। এতে ভিডিও কল করার সুবিধা না থাকায় প্রতারকরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছিল না। তাই তারা তাকে বাধ্য করেছিল একটি দোকানে গিয়ে একটি স্মার্টফোন কিনতে।
পরবর্তী ছয় দিনে তিনজন পুরুষ এবং একজন মহিলা, যারা নিজেদের পুলিশ কর্মকর্তা ও বিচারক হিসেবে পরিচয় দেন, তাকে স্কাইপের মাধ্যমে অবিরত পর্যবেক্ষণে রেখেছিলেন। তখন রুচিকা নিজের ফোনের ক্যামেরা সবসময় চালু রেখেছিলেন।
প্রতারকরা ভুক্তভোগীকে রাতের বেলা তার শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে উঠিয়ে অতিরিক্ত ডেটা প্যাক কিনতে বাধ্য করেছিলেন, যাতে স্ক্যামটি চলতে থাকে। তাকে ফোনটি পুরো বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় রাখতে বলা হয়েছিল— রান্নাঘরে, শোবার ঘরে, এমনকি বাথরুমের বাইরে। রুচিকার প্রতিটি পদক্ষেপ ট্র্যাক করছিলেন প্রতারকরা।
রুচিকাকে তার হাসপাতাল এবং আত্মীয়স্বজনের কাছে মিথ্যা বলতে বাধ্য করা হয়। তাকে বলতে বাধ্য করা হয়, তিনি কাজ করতে বা কারো সঙ্গে দেখা করতে অক্ষম, কারণ তিনি খুব অসুস্থ। যখন এক আত্মীয় তাকে দেখতে এসেছিলেন, প্রতারকরা রুচিকাকে ফোনের ক্যামেরা চালু রেখে বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকতে বলেছিল।
এক সপ্তাহ ধরে রুচিকা ৭০০টিরও বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হন তার জীবন এবং কাজ নিয়ে। একটি সাজানো বিচার, জাল আদালত সংক্রান্ত নথি এবং তার জীবনের সঞ্চয় প্রতারকদের হাতে তুলে দেওয়ার বিনিময়ে তাকে "ডিজিটাল জামিন" দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সেই ভুয়া আদালতে তাকে বলা হয়েছিল, "বিচারকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে"। তাকে সাদা পোশাক পরতে বলা হয়েছিল। প্রতারকরা তাদের ভিডিও বন্ধ করে দিয়েছিল, খালি স্ক্রিনে শুধু তাদের ভুয়া নাম এবং নকল ব্যাজ [এমনভাবে তৈরি, যা দেখে আসল মনে হচ্ছিল] দেখানো হচ্ছিল।
এক পর্যায়ে, এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতারকরা রুচিকার ৭০ বছর বয়সী মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিল। "তার মেয়ের ভালো থাকার জন্য" তাকে চুপ থাকতে বলা হয়েছিল।
যখন ডাক্তার বারবার ক্যামেরার সামনে ভেঙে পড়ছিলেন, তখন প্রতারকরা তাকে বলেছিলেন, "গভীর শ্বাস নাও এবং শান্ত হও। তুমি হত্যা করনি। তুমি শুধু অর্থ পাচার করেছ।"
এর থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টায় রুচিকা তার সমস্ত সঞ্চয় বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে [প্রায় অর্ধ ডজন অ্যাকাউন্ট] ট্রান্সফার করেন। তাকে বিশ্বাস করানো হয়েছিল, "সরকারি যাচাই" এর পরে তার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু তার সঞ্চয় তিনি ফেরত পাননি। প্রতারকরা অর্থ ট্রান্সফার শেষ হওয়ার পরে ফোন কেটে দেন।
এক সপ্তাহ পর কাজ ফিরে এসে ক্লান্ত রুচিকা ট্যান্ডন "ডিজিটাল হেফাজত" এবং "নতুন সিবিআই তদন্ত পদ্ধতি"-এর মতো শব্দগুলো ইন্টারনেটে খুঁজতে থাকেন। ইন্টারনেট থেকেই তিনি দেশজুড়ে "ডিজিটাল গ্রেপ্তার" প্রতারণার আরও ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। তবে তিনি এখনও মেনে নিতে পারেননি, তিনি একটি ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হয়েছেন। "পুলিশ স্টেশন এবং পুলিশ কর্মকর্তারা আসল ছিল" এমন আশা নিয়ে তিনি পুলিশ স্টেশনে ছুটে যান।
রুচিকা বলেন, তিনি উদ্বিগ্নভাবে পুলিশের কাছে যান। তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে কয়েকদিন ধরে অদ্ভুত ফোনকল পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তিনি আরও কিছু বলতে পারার আগেই একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কি কোনো টাকা ট্রান্সফার করেছেন?"
অন্য একটি পুলিশ স্টেশনে, "তারা আমার কেস শোনার পর হাসতে শুরু করেছিল," রুচিকা স্মৃতিচারণ করে বলেন। এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন, "এটি এখন খুবই সাধারণ ঘটনা।"
৫০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে অবস্থানরত লেখক এবং সাংবাদিক নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় জুলাই মাসে বেশ কঠিনভাবেই ওই প্রতারণা থেকে বেঁচে যান।
তিনি ২৮ ঘণ্টা "ডিজিটাল হেফাজত"-এর মধ্যে কাটান। প্রতারকরা দাবি করেছিলেন, নীলাঞ্জনের নিষ্ক্রিয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা পাচার করা হয়েছে। তার সন্দেহ হয় যখন এক কলার তাকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি তার মিউচুয়াল ফান্ড রিডিম করেননি? এটি এমন একটি প্রশ্ন, যা সাধারণত একজন পুলিশ কর্মকর্তা ফোনে জিজ্ঞেস করবেন না।
নীলাঞ্জন তার স্টাডি রুম থেকে চুপচাপ সরে গিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলেন। তার বন্ধুরা তাকে সতর্ক করে তার মডেম ডিসকানেক্ট করতে বলেন। এটি তাকে প্রতারকদের কবল থেকে মুক্তি দেয়।
তিনি বলেন, "যতক্ষণ না আমার বন্ধুদের সাহায্যে এই প্রতারণার কথা ফাঁস হলো, আমি হয়ে উঠেছিলাম ডিজিটাল দাস। আমি আমার টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলাম, সবকিছু তাদের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সব শেষ হওয়ার পর আমি নিজেকে একেবারে বোকা মনে করেছিলাম।"
এই প্রতারকদের ধরা নিয়ে অগ্রগতি স্পষ্ট নয়। অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার ধীরগতি নিয়ে হতাশ।
তবে, রুচিকা কিছু সফলতা পেয়েছেন: পুলিশ ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে, যার মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন। চুরি হওয়া অর্থের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নগদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জব্দ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনি তার চুরি যাওয়া ২৫ মিলিয়ন রুপির মধ্যে ১.২ মিলিয়ন রুপি ফেরত পেয়েছেন [উদ্ধারকৃত নগদ অর্থ]।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দীপক কুমার সিং বলেন, প্রতারকরা একটি জটিল অপারেশন চালাচ্ছিল।
তিনি বলেন, "প্রতারকরা শিক্ষিত পুরুষ এবং নারী। তারা ইংরেজি এবং বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় পারদর্শী। তাদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট, সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ এবং পেশাদার ব্যাংকারও রয়েছে। বেশিরভাগই টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে কাজ করেন।"
তদন্তকারী কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রতারকরা অত্যন্ত চালাক। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছিল।
সিং বলেন, "তারা আপনাকে ট্র্যাক করে, ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে এবং আপনার দুর্বলতা চিহ্নিত করে। তারপর তারা দ্রুত আঘাত হানে, সম্ভাব্য ভুক্তভোগীদের সঙ্গে হিট-এন্ড-রান পদ্ধতি ব্যবহার করে।"
প্রতারকরা জানত, নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় একজন সাংবাদিক এবং লেখক। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির জীবনী লেখক। তারা জানত, রুচিকা ট্যান্ডন একজন ডাক্তার এবং গোয়ায় একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের কাছে তাদের বায়োমেট্রিক জাতীয় পরিচয় নম্বর ছিল।
তবে প্রতারকরা কিছু ভুলও করেছিল। নীলাঞ্জনকে যারা কল দিয়েছিলেন তারা জানত না, সাধারণত কত সময় লাগে অর্থ রিডিম করতে। এটি নীলাঞ্জনের মনে সন্দেহ জাগায়। রুচিকার ভুয়া বিচারক, নিজেকে বিচারক ধনঞ্জয় দাবি করেছিলেন এবং সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় চন্দ্রচূড়ের ছবি সহ একটি ভুয়া চিহ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে, মুহূর্তের চাপের মধ্যে তিনি এই ক্লু মিস করেন।
রুচিকা ট্যান্ডন বলেন, তিনি এখনও একটি বাজে অনুভূতি নিয়ে বেঁচে আছেন; বাস্তবতাকে সেই দুঃস্বপ্ন থেকে আলাদা করতে সংগ্রাম করছেন। যখন তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন, তখনও তিনি ভাবছিলেন, "পুলিশ স্টেশনও কি ভুয়া ছিল?"
প্রতিটি ফোন কল তার মনে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, "কাজের মধ্যেই কখনও কখনও আমি শূন্য হয়ে যাই, ভয় নিয়ে পূর্ণ হয়ে থাকি। দিনগুলো কিছুটা ভালো কাটলেও, সন্ধ্যা হওয়ার পর সবকিছু কঠিন হয়ে যায়। আমি দুঃস্বপ্ন দেখি।"
অনুবাদ: তাসবিবুল গনি নিলয়