সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে চায় বাংলাদেশ
আয়োজনটা বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড নারী দলের মধ্যকার সিরিজের জন্য। স্পন্সর ঘোষণা করতে বুধবার মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এখানে চলে এলো আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের বিষয়টিও। সমীকরণটা বাংলাদেশের জানা, সরাসরি বিশ্বকাপ খেলতে হলে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে নিগার, মারুফা, রাবেয়াদের। কঠিন হলেও সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবির নারী বিভাগের প্রধানের পদে থাকা হাবিবুল বাশার।
প্রতিবেশি দেশ ভারতে আগামী বছর মেয়েদের ৫০ ওভারের বিশ্ব আসর বসবে। এই বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে নিজেদের বাকি থাকা সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে বাংলাদেশকে। সুপার লিগে তাদের ম্যাচ আছে ৬টি। এর মধ্যে তিনটি ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, বাকি তিন ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরের মাঠে। আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের জেতার সামর্থ্য থাকলেও ক্যারিবীয়দের পক্ষে কাজটি যে বেশ কঠিন, তা অজানা নয়।
বাংলাদেশ আপাতত আয়ারল্যান্ড সিরিজে চোখ রাখছে। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ২২ নভেম্বর বাংলাদেশে আসবে আইরিশরা। ২৭, ৩০ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ওয়ানডে। ৫, ৭ ও ৯ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে তিন টি-টোয়েন্টি। এই সিরিজের স্পন্সর হয়েছে স্কয়ার গ্রুপ। সিরিজের নামকরণ করা হয়েছে 'সেনোরা আয়ারল্যান্ড উইমেন্স ট্যুর অব বাংলাদেশ ২০২৪, পাওয়ার্ড বাই রুচি।'
স্পন্সর ঘোষণার এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, 'আমাদের এখন আর ছয়টি ম্যাচ আছে। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে তিনটি। ছয়টি ম্যাচই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা এখনই সব ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না। আপাতত এই সিরিজটি নিয়েই ভাবছি। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলছি, এখানে বাড়তি সুবিধা থাকবে আমাদের।'
'আমরা তিনটি ম্যাচই জিততে চাই। এটাই প্রাথমিক লক্ষ্য। স্নায়ুর চাপ একটু থাকবে, যেহেতু পারফর্ম করার চাপ আছে। সেটা খুব স্বাভাবিকই। এখনও পর্যন্ত মেয়েদের দেখে মনে হয়েছে, তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবাই ভালো করতে চায়, বিশ্বকাপ তো সবাই খেলতে চায়। ঘরের মাঠে যেহেতু খেলা, আশা করি ভালো কিছুই হবে।' যোগ করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
এই সিরিজের প্রস্তুতি সারতে গত ১ নভেম্বর অনুশীলন শুরু করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রস্তুতি নয়ে বাশার বলেন, 'আমরা এই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি অনেক দিন ধরে। ১ তারিখ থেকে অনুশীলন করছে মেয়েরা। ওরা কিন্তু ধারাবাহিকভাবে খেলার মধ্যেই ছিল, বিশ্বকাপ খেলেছে। এরপর কিছুদিন খেলার বাইরে ছিল। এখন আবার ফিরেছে। এই সময়টায় আমাদের ভালোই উন্নতি হয়েছে। এখন দেখা যাক, মাঠে আমরা কেমন করি।'
ঘরের মাঠের সুবিধা নিতেই হয়তো ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। শক্তি, সামর্থ্য বিবেচনায় বাংলাদেশেরকে হয়তো মন্থর ও টার্নিং উইকেটই দেওয়া হবে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসছে আয়ারল্যান্ড। তবে দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাস পুরনো। ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক পথচলা শুরু হয় বাংলাদেশের মেয়েদের। আইরিশদের বিপক্ষে ৬ ওয়ানডের ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে একটি ম্যাচ। বাকি দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।