ঘুষ কেলেঙ্কারিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তলানিতে, এক বছরে সর্বনিম্নে আদানির বন্ডের দাম
মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ ও জালিয়াতির অভিযোগ আনার পর সোমবার আদানি গ্রুপের ডলার বন্ডের দাম এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
ঘুষ ও জালিয়াতির অভিযোগের কারণে ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠীটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে গেছে। এর জেরেই পড়ে গেছে আদানির ডলার বন্ডের দাম।
গত সপ্তাহে আদানি চেয়ারম্যান গৌতম অডানিসহ আরও সাতজনের বিরুদ্ধে ভারতের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিতে রাজি হওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘুষের বিনিময়ে আদানি গ্রুপ এমন চুক্তি পেয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার মুনাফা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এছাড়া ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্যও ঘুষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মার্কিন তদন্তের খবর পাওয়ার পরও তারা জনসমক্ষে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেন।
আদানি গ্রুপ অবশ্য এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আনার আরেকটি অভিযোগকেও তারা ভিত্তিহীন দাবি করেছে। গ্রুপটি জানিয়েছে, 'সম্ভাব্য সমস্ত আইনি পদক্ষেপ' গ্রহণ করবে তারা।
সোমবার এশিয়ার বাজারে আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন-এর সবচেয়ে লিকুইড কয়েকটি বন্ডের দাম ১ থেকে ২ সেন্ট কমেছে। একই পরিমাণে কমেছে আদানি ট্রান্সমিশন ডেবট-এর দামও।
২০২৭ সালে ম্যাচিউর হওয়া পোর্টস বন্ডের দাম ১.৬ সেন্ট কমে ৮৮.৯৮ সেন্টে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহে গৌতম অডানির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রসিকিউটররা অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে এ পরযন্নত এ বন্ডের দাম প্রায় ৭ সেন্ট কমেছে।
ঘুষ কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসার পর সোমবার দীর্ঘমেয়াদি পোর্ট বন্ডের দামও ৮ থেকে ১০ সেন্ট কমে গেছে।
২০৩৬ সালের মে মাসের মধ্যে ম্যাচিউর হওয়া আদানি ট্রান্সমিশন ডেবট বন্ডের দাম কমে গেছে ১.৮ সেন্ট। বুধবারের পর থেকে এ বন্ডের দাম কমেছে ৭ সেন্টেরও বেশি।
এছাড়া গত সপ্তাহে আদানি এন্টারপ্রাইজেসসহ আদানি গ্রুপের ১০টি তালিকাভুক্ত শেয়ারের বাজারমূল্য কমেছে ২৭.৯ বিলিয়ন ডলার।