খুলনায় ডেঙ্গু নিধনের দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ, স্মারকলিপি জমা
খুলনা নগরীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ভয়ানক বেড়েছে। ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩জন এবং প্রতিদিন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তবুও মশা নিধনে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই অবিলম্বে মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং কেসিসিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে তারা নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেসিসিতে যান। সেখানে কেসিসি প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান।
স্মারকলিপি উল্লেখ করা হয়, শহরের জরাজীর্ণ সড়ক ও অলি-গলি এবং ভাঙাচোরা ড্রেনের কাজ মন্থর গতিতে চলায় উন্নয়ন বিড়ম্বনা নগরবাসীর 'গলার কাটা' হয়ে দাড়িয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বর্ষা মৌসুমের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয় এবং শীত মৌসুম এই মশা চলে যায়। তবে এই বছর রোগটি জটিল ও মারাত্মক রূপ নিয়েছে। শীত মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্লাটিলেটের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়ে চরম ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ মশা নিধনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মতৎপরতা নগরবাসীকে রীতিমতো হতাশ করেছে। মশার লার্ভা নিধনে তাদের কোনো উদ্যোগ যেমন নেই, পাশাপাশি ফগার মেশিন দিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়ার কুন্ডলীর ভেতরেই শত শত মশার জীবন্ত ওড়াওড়ি প্রমাণ করে দেয়, কেসিসির ছিটানো এই স্প্রে মশক নিধনে অকার্যকর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সততার ভয়াবহ ঘাটতিরও পরিচায়ক দিয়েছে।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালে মরণাপন্ন রোগীর দেহে প্লাজমা দেওয়ার প্রয়োজনে অধিকাংশরাই দ্বারস্থ হচ্ছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে। কারণে নগরীর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকলেও, চিকিৎসা ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় অনেকেই যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
স্মরকলিপি গ্রহণ কালে কেসিসি সচিব বলেন, 'দ্রুত সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু মশা নিধনে, সড়ক ও ড্রেন সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।'
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ফকরুল আলম, বেগম রেহেনা ঈসা, এড. নুরুল হাসান রুবা, কাজী মাহমুদ আলী, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, থানা বিএনপির কে এম হুমায়ূন কবির (ভিপি হুমায়ূন), হাফিজুর রহমান মনি, মো. মুরশিদ কামাল প্রমূখ।