দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্টের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও তার প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন সুক ইওল। এ ঘোষণার পর হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। তারা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ কিংবা অভিশংসনের দাবি জানান।
ওইদিন মধ্যরাতেই সৈনিকদের বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্টে জড়ো হন আইনপ্রণেতারা। তারা প্রেসিডেন্টের জারি করা ডিক্রিকে ভোটাভুটির মাধ্যমে বাতিল করে দেন। প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেন ইউন। সামরিক আইন ঘোষণার কারণে তার বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে।
ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে অভিসংশনের প্রস্তাব করেন বিরোধীদলের আইনপ্রণেতারা। গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ প্রস্তাবে ভোটাভুটি শুরু হওয়ার আগে ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) এমপিরা পার্লামেন্টের অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে ভোটাভুটিতে দুই-তৃতীয়াংশ বা ২০০ এমপির সমর্থন না পাওয়ায় এ যাত্রা বেঁচে যায় ইউনের গদি।
ইউনের দল পিপিপির নেতারা বলেছেন, ইউন তার মেয়াদ কমাতে এবং বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জড়িত না হওয়ার জন্য সম্মত হওয়ার পর তারা এ প্রস্তাবকে সমর্থন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন সামরিক আইন ঘোষণার জন্য ইউনকে প্রস্তাব করেছিলেন। তাকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত বুধবার তিনি মন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং ক্ষমা চান। তিনি ছাড়াও সরকারের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাও পদত্যাগ করেছেন।