বোলারদের রাজত্বে মাহেদীর ব্যাটিং তাণ্ডব
আগের ম্যাচে ১০৩ রানেই অলআউট। এই ম্যাচেও বড় সংগ্রহের আভাশ মেলেনি। মূল ব্যাটসম্যানদের ব্যাট সেভাবে চলেনি। ১৫০ রানের আগেই গুটিয়ে যেতে পারতো তামিম একাদশের ইনিংস। কিন্তু ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সব হিসেব পাল্টে দিলেন মাহেদী হাসান। বোলারদের রাজত্বে ব্যাট হাতে রাজার মতো লড়লেন তরুণ এই অলরাউন্ডার।
হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা তামিম একাদশ দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো শুরু করতে পারেনি। নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ধুঁকতে দেখা গেছে তামিমের দলের বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানদের। এর মাঝে ব্যতিক্রম কেবল মাহেদী। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো গতির ৮২ রানের সুবাদে নাজমুল একাদশের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২২১ রান তুলেছে তামিম ইকবালের দল।
বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে তামিমের দল। আগের ম্যাচে ২৭ রান করা তানজিদ হাসান তামিম এদিন বেশি সময় টিকতে পারেননি। বিশ্বজয়ী যুব দলের এই সদস্য ৫ রান করে আল আমিন হোসেনের শিকারে পরিণত হন।
এনামুল হক বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছিলেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু এই জুটিও দীর্ঘ হয়নি। ১২ রান করা বিজয়কে ফিরিয়ে দেন ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে আসা নাজমুল একাদশের পেসার তাসকিন আহমেদ।
উইকেটে থিতু হতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুনও। ৪ রান করেই বিদায় নেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। মিঠুনকে ফেরানো নাজমুল একাদশের স্পিনার তামিমকেও আউট করেন। ফেরার আগে ৪৫ বলে ৪টি চারে ৩৩ রান করেন তামিম।
৬৫ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে কিছুটা সময় পথ দেখান শাহাদাত হোসেন দিপু ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই জুটি থেকে ৪০ রান পায় তামিম একাদশ। মোসাদ্দেক ১২ ও শাহাদাত ৩১ রান করেন। এরপর ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটি পায় তামিমের দল, সেটাও দুই স্পিনারের কল্যাণে।
১২৫ থেকে তামিম একাদশকে ২২০ রান পর্যন্ত পৌঁছে দেন ব্যাটকে খোলা তরেবারিতে পরিণত করা মাহেদী হাসান ও তাইজুল ইসলাম। শুরুতে ধীর-স্থির থাকলেও আস্তে আস্তে চড়াও হতে থাকেন মাহেদী। একটা পর্যায়ে রীতিমতো তাণ্ডন শুরু করেন তিনি। ৪৯তম ওভারে সৌম্য সরকারের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন মাহেদী।
টানা দুই ছয় ও দুই চারে তুলে নেন ২০ রান। ২ বল বাকি থাকতে আউট হওয়া মাহেদী ৫৭ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮২ রান করেন। তাইজুল অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। ৪৩ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন আল আমিন হোসেন। এ ছাড়া দুই স্পিনার নাঈম হাসান ও রিশাদ হোসেন দুটি করে এবং তাসকিন একটি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
তামিম একাদশ: ২১২/৯ (তামিম ৩৩, বিজয় ১২, শাহাদাত ৩১, মোসাদ্দেক ১২, মাহেদী ৮২, তাইজুল ২০*; তাসকিন ১/৪১, আল আমিন ৩/৪৩, নাঈম ২/২৮, রিশাদ ২/২১)।