আফিফের সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ
আফিফ হোসেন ধ্রুব তখন তিন অঙ্কের খুব কাছে। আর দুটি রানেই পূর্ণ হয়ে যাবে সেঞ্চুরি। এমন সময়ে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার তরুণ এই ব্যাটসম্যান। ৯৮ রান করেও হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেও আফিফের হতাশ হওয়ার দিনে নাজমুল একাদশ অবশ্য বড় সংগ্রহ গড়েছে।
বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করা নাজমুল একাদশ ৮ উইকেটে ২৬৪ রান করেছে। ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। আফিফ ৯৮ ও মুশফিক ৫২ রান করেন। অপরাজিত ৪৮ রান করেন ইরফান শুক্কুর।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নাজমুল একাদশের। দলীয় ১৩ রানেই ফিরে যান ব্যাট হতে নিজের ছায়া হয়ে ওঠা সৌম্য সরকার। দুই চারে ৮ রান করা সৌম্যর স্টাম্প উপড়ে নেন রুবেল হোসেন। ধীর-স্থির শুরু করা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও টিকতে পারেননি। রুবেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
বিশ্বজয়ী যুব দলের সদস্য পারভেজ হোসেন ইমনকে সাবলীল মনে হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৩১ রানে সুমন খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে থামেন তিনি। ফেরার আগে ১৯ রান করেন তরুণ এই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
৩১ রানেই ৩ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন। এই জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয় নাজমুল একাদশ। যতো সময় গড়িয়েছে এই দুই ব্যাটসম্যানের রান তোলার গতি ততো বাড়তে থাকে। মুশফিক দেখেশুনে খেললেও আফিফ খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে। এই জুটি থেকে ১৪৭ রান পায় নাজমুল একাদশ।
এই জুটিতে ১৭৮ রানে পৌঁছে যায় দলটি। সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে বিদায় নিতে হয় আফিফকে। ১০৮ বলে ১২টি চার ও একটি ৯৮ রান করেন এই তরুণ তুর্কি। কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন মুশফিকও। আগের ম্যাচে ১০৩ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক এদিন ৯২ বলে একটি চারে ৫২ রান করেন।
এরপর নাজমুল একাদশের রানচাকা ঘুরিয়েছেন তৌহিদ হৃদয় ও নিয়মিত রান করে আসা ইরফান শুক্কুর। হৃদয় ২৭ রান করে থামলেও ইরফান ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ইনিংস সাজান শুক্কুর। মাহমুদউল্লাহ একাদশের রুবেল হোসেন ৩টি, এবাদত হোসেন ২টি ও সুমন খান একটি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নাজমুল একাদশ: ২৬৪/৮ (ইমন ১৯, মুশফিক ৫২, আফিফ ৯৮, হৃদয় ২৭, শুক্কুর ৪৮*; রুবেল ৩/৫৩, এবাদত ২/৬০, সুমন ১/৫২)।