সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও তেলের, কমেছে আলুর
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি তেলের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ২-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে বিভিন্ন ধরনের সবজি আগের মতোই কিছুটা কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর শাহজাদপুর, বাড্ডা ও মহাখালী বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি নতুন পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে এ দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা প্রতিকেজি। এছাড়া প্রতিকেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়।
বাজার করতে আসা গুলশানের বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী টিবিএসকে বলেন, "আলুর দাম যদিও আগের চেয়ে কম কিন্তু খবরে দেখি কৃষকরা ১০-১৫ টাকায় বিক্রি করে। আর আমরা ৩৫ টাকায় কিনতেছি। ব্যবসায়ীরা আমাদের সব টাকা নিচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। খরচ কুলানো কষ্ট। তবুও কোনোরকম চলে যাচ্ছে।"
মুরগির দাম এখনও বেশি
এদিকে বর্তমানে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকায় ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। এছাড়া এক ডজন ডিম ১২৫-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমনের মৌসুমেও চালের দাম বেশি
বর্তমানে আমনের ভরা মৌসুম চলছে। তবে এর মাঝেও চালের দাম বেশি। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, খুচরা পর্যায়ে এখন মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, মাঝারি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং সরু চাল ৭০ থেকে ৭৪ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। টিসিবির হিসাবে, এক মাসের ব্যবধানে মোটা চালে ৩-৪ টাকা, মাঝারি চালে ২ টাকা ও সরু চালে ২-৪ টাকা বেড়েছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, টিসিবির হিসাবের চেয়ে বাজারে চালের দাম আরও কিছুটা বেশি।
ভোজ্য তেল ও মাছের দামও বাড়ছে
বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২-৭ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫-১৭২ টাকায়। গত সপ্তাহে এ দাম ছিল ১৬৩-১৬৫ টাকা। আর বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে প্রতি লিটার ১৭৪-১৭৫ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ১৭৩-১৭৫ টাকা। যদিও খুচরা দোকানগুলোতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাবদা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০, চাষের শিং ৫০০ থেকে ৫৫০, আকারভেদে চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০, ১ কেজি ওজনের রুই ২৫০-২৮০, বড় রুই ৩৫০-৪৫০ ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০, ট্যাংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ ও চিতল ৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার স্থিতিশীল আছে
এদিকে বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, বাঁধা কপি ও ফুলকপি ৩০, শিম ৩০-৪০, বরবটি ৬০, মুলা ২০, শসা ৪০-৫০ ও কচুর লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কলার হালি ৩০, শালগম ৪০, গাজর ৫০, প্রতি কেজি পেঁপে ২৫-৩০, ঝিঙে-ধুন্দুল ৭০, টমেটো ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় ও পাইকারিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।