৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য এজন্য দায়ী: অন্তর্বর্তী সরকার
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/01/30/bangladesh-govt-logo-tbs_1.jpg)
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের প্রেস উইং আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, পলাতক শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলস্বরূপ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, 'গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি। গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে যার দুটো অংশ আছে। একটা অংশ হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন'।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন। মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।'
দেশের শান্তি ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক শেখ হাসিনা যদি উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকেন, তবে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব হবে।
সরকার ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে, তাদের ভূখণ্ড যেন বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহৃত না হয় এবং পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে।
এছাড়া, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে এবং এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে বলেও জানায়।