আইনের শাসন: ১২৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১১২তম
বৈশ্বিক আইনের শাসন সূচকে ১২৬ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১১২তম অবস্থানে। গত বছর এই সূচকে ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০২তম অবস্থানে ছিল।
আর দক্ষিণ এশিয়ার ৬ টি দেশে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপাল, শ্রীলংকা ও ভারত। আর বাংলাদেশের পরে অবস্থান পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের।
তবে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একই অবস্থানে রয়েছে। ধারাবাহিক এই অবস্থানে বাংলাদেশের পেছনে বরাবরের মতোই থাকছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো দেশ দুটি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (ডব্লিউজেপি)-এর ‘আইনের শাসন সূচক-২০১৯ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
১২৬টি দেশের ১ লাখ ২০ হাজার খানায় জরিপ ও ৩৮০০ জন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়ে এই সূচক ও প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ডব্লিউজেপি।
সূচকের ভিত্তি মূলত আটটি। এগুলো হল, সরকারি ক্ষমতার বিঘ্নতা, দুর্নীতির অনুপস্থিতি, সরকারের সচ্ছতা, মৌলিক অধিকার, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতার প্রয়োগ, দেওয়ানি বিচার ও ফৌজদারি বিচার।
এই ৮ সূচকে দেশগুলোর আইনের শাসন যাচাই করা হয়। মোট স্কোর ১। এ বছর সূচকে বাংলাদেশের স্কোর .৪১।
ডব্লিউজেপি প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটটি সূচকের মধ্যে মৌলিক অধিকারের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ। এ ক্ষেত্রে ১২৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১১৯তম অবস্থানে।
শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার সূচকে বাংলাদেশ ১১৬ ও ফৌজদারি বিচারে ১১৪তম অবস্থানে রয়েছে। তবে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে সরকারের সচ্ছতার সূচকে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম।
সার্বিকভাবে বাংলাদেশ ভালো করলেও ২০১৬ সাল থেকে দেশটির স্কোরের পরিবর্তন হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ০.৪১। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ০.৪২ স্কোর করেছিল।
তালিকায় আইনের শাসনের দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো। সর্বোচ্চ ০.৯ স্কোর পেয়ে সবার উপরে ইউরোপের দেশ ডেনমার্ক। এর পরপর অবস্থান আরও তিনটি স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশ নরওয়ে, ফিনল্যাণ্ড ও সুইডেনের। পঞ্চম স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ড।
আইনের শাসনের বিচারে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা দেশগুলো হল ভেনেজুয়েলা ও কম্বোডিয়া।