সাকিবের জন্য বিগ ব্যাশের দরজা বন্ধ
গত ২৯ অক্টোবর আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। মুক্ত হওয়ার দিন থেকে ক্রিকেট খেলতে আর বাধা নেই বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো ধরনের টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন সাকিব। কিন্তু বিগ ব্যাশ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের জন্য বিগ ব্যাশের দরজা এখনও খোলেনি।
সাকিবের মুক্তির খবরে তাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখেয়েছিল বিগ ব্যাশের একটি দল। কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নৈতিক পুলিশের বিভাগের আপত্তির কারণে সাকিবকে দলে নেওয়ার আগ্রহের জায়গা থেকে সরে গিয়েছে দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবর, সাকিবকে দলে নিতে চাইলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নৈতিক পুলিশের বিভাগের আপত্তির কারণে দলটি বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের প্রতি আর আগ্রহ দেখায়নি। কোনো ক্রিকেটার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে শাস্তি পেয়ে থাকলে তার ব্যাপারে অনেক পর্যবেক্ষণ থাকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নৈতিক পুলিশের।
বেশিরভাগ সময়ে শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটারকে বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি দেয় না নৈতিক পুলিশ বিভাগ। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও সেটা না জানানোয় সাকিব এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। এই শাস্তিই বিগ ব্যাশে খেলার পথে সাকিবের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিছুদিন আগে ইউটিউবে সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দেন সাকিব। একটি প্রশ্নের উত্তরে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার তার সতীর্থদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম সাকিবের সেই উদ্ধৃতি উল্লেখ করেছে।
সাকিব বলেছিলেন, 'সন্দেহ, অবিশ্বাস তৈরি হতেই পারে। সেটা কখনোই অস্বীকার করি না। তবে আমার সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, আমি কখনও এটা অনুভব করিনি। আশা করি, তারা যেভাবে আমাকে বিশ্বাস করত, এখনও সেভাবেই করবে। তবে অবিশ্বাস করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। মনের কোনায় সন্দেহ জাগতেই পারে। ঘটনাটাই এমন, যে কারও মনে সন্দেহ জাগতে পারে।'
বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবের। এরআগে মেলবোর্ন রেনেগেডস ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে জনপ্রিয় এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলেছেন তিনি। কিন্তু পেছনের ভুলের কারণে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিগ ব্যাশের এবারের আসরে খেলা হচ্ছে না তার।