তামিমদের বিদায় করে আশা বাঁচিয়ে রাখলো মুশফিকের দল
শুরুটা ঢিমে তালের হলেও মাঝে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটে লড়লো ফরচুন বরিশাল। কিন্তু তার বিদায়ে দিক হারানো বরিশাল আর জয়ের পথ খুঁজে পায়নি। দারুণ এক জয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইলো মুশফিকুর রহিমের দল বেক্সিমকো ঢাকা। তামিম ইকবালের দল বিদায় নিল টুর্নামেন্ট থেকে।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে বেক্সিমকো ঢাকা। এলিমিনেটর জিতে পরের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করতে হবে মুশফিকদের। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম-জেমকন খুলনার মধ্যকার প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দলের বিপক্ষে ১৫ ডিসেম্বর ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে মুশফিকবাহিনী।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে বেক্সিমকো ঢাকা। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তোলে ঢাকা। জবাবে অগোছালো শুরু করা ফরচুন বরিশাল মাঝে শুধু আফিফ হোসেনের ব্যাটে লড়েছে। বাকিরা কেউ-ই দলের জন্য সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি। ৯ উইকেটে ১৪১ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে বরিশাল দাপুটে শুরু করতে পারেননি। দলীয় ২১ রানে ওপেনার সাইফ হাসানের স্টাম্প উপড়ে নেন ঢাকার পেসার শফিকুল ইসলাম। ইনসাইড এজে আউট হন সাইফ। কিছুক্ষণ পরই সাজঘরের পথ ধরেন টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া পারভেজ হোসেন ইমন।
দলের দুঃসময়ে ধীর-স্থির থেকে খেলে যাওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু তার পথটাও দীর্ঘ হয়নি। দলীয় ৫৯ রানে আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার। রান তোলার দিক থেকেও বরিশাল বেশ পিছিয়ে ছিল। ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৯ রান যোগ হয় বরিশালের স্কোরকার্ডে।
এরপর দলের হাল ধরেন আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়। যদিও এদিন তাদের জুটি দীর্ঘ হয়নি। আফিফ দলকে টানতে থাকলেও হৃদয় ১২ রান করেই থামেন। এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভ রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। আশার আলো টিকিয়ে রাখা আফিফও লড়াই চালিয়ে যেতে পারেননি।
৩৫ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ রান করে আউট হন বাঁহাতি তরুণ এই ব্যাটসম্যান। ১৮ বলে বরিশালের দরকার তখন ৪৫ রান। এমন সময়ে উইকেটে এসে একটি চার ও ছক্কা মেরে আশা ফেরান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। কিন্তু ৮ বলে ১৫ রান করে থামেন তিনি। শেষ ওভারে ২০ রান দরকার হলেও বরিশাল ১০ রান তুলতে সক্ষম হয়। ঢাকার পেসার শফিকুল ইসলাম ও মুক্তার আলী ৩টি এবং স্পিনার আল আমিন জুনিয়র ২টি উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা বেক্সিমকো ঢাকার শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দলীয় ৬ রানের মধ্যেই আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম শেখ ও আল আমিন জুনিয়রকে হারায় তারা। সাব্বির রহমানও টিকতে পারেননি। ২২ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন অধিনায়ক মুশফিক ও ইয়াসির আলী রাব্বি।
চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৩০ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করে আউট হলেও ইয়াসির তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৪৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর আকবর আলী উল্লেখযোগ্য রান করেছেন, ২১ রান করেন বিশ্বজয়ী এই যুব অধিনায়ক। বরিশালের মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ২টি করে উইকেট নেন।