অধিনায়ক মুশফিকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ
এ কারণেই হয়তো অধিনায়কত্ব নিতে চান না মুশফিকুর রহিম! দলকে পথ দেখাতে গিয়ে খেই থাকে না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের, হারিয়ে ফেলেন মেজাজ। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই মেজাজ হারাতে দেখা গেছে মুশফিককে। আম্পায়ারের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ানোসহ ড্রেসিংরুম থেকে সতীর্থদের উদ্দেশ্যে বাজে ভাষায় চিৎকার করেছেন তিনি। এবার তো মাঠেই সতীর্থকে মারতে তেড়ে গেলেন বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক।
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ, হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। এমন ম্যাচে চাপের বোঝা মাথায় থাকবে, সেটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক এই চাপ সামলে দলকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পুরো ম্যাচেই সতীর্থদের সঙ্গে উত্তেজিত আচরণ করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি মেজাজ হারিয়ে দলের স্পিনার নাসুম আহমেদকে মারতে দুইবার হাতও উচিয়েছেন তিনি।
বরিশালের ইনিংসের ১৩তম ওভারে ঘটে এই ঘটনা। নাসুমের বলে বড় ছক্কা মারেন বরিশালের আফিফ হোসেন। এই ছক্কা হজম করায় নাসুমের ওপর বিরক্তই হন মুশফিক, তার শারীরিক ভাষাই সেটা বলে দিচ্ছিল। পরের বলে আফিফ মিড-উইকেটে বল পাঠিয়ে এক রান নেন। একসঙ্গে বল কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম ও মুশফিক। বল কুড়ালেও উইকেটে না মেলে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন মুশফিক!
এখানেই শেষ নয়, ১৭তম ওভারের খেলা চলছিল। পেসার শফিকুল ইসলামের বলে আফিফ শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন। ক্যাচ ধরতে ছুটে যান মুশফিক, নাসুমও চেষ্টা করেন ক্যাচটি নিতে। মুশফিক এগিয়ে থাকায় নাসুম দাঁড়িয়ে যান, অধিনায়ককে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ দেন। এবারও নাসুমের ওপর ক্ষিপ্ত হন মুশফিক। ক্যাচটি ধরে মুশফিক আবারও একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য এগিয়ে যান। ক্ষিপ্ত মুশফিককে হাত দিয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন নাসুম।
ম্যাচের পর নাসুমের মানসিক ও খেলোয়াড়সুলভ আচরণ নিয়ে কথা বলেন মুশফিক। ঢাকার অধিনায়কের কাছে মনে হয়েছে মানুষ এবং খেলোয়াড় হিসেবে নাসুমের অনেক জায়গাতেই উন্নতির প্রয়োজন আছে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, 'মানুষ এবং খেলোয়াড় হিসেবে নাসুমের উন্নতির দরকার আছে।'