মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে খুলনার লড়াকু পুঁজি
দলের দুঃসময়ে সত্যিকারের নেতা হয়ে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান পাঁচ নম্বরে নেমে খেললেন শেষ পর্যন্ত। শুরুতে রয়েসয়ে ব্যাট চালালেও শেষটা করলেন খুনে। তাতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেল জেমকন খুলনা। আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৫৫ রান তুলেছে মাহমুদউল্লাহর দল।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে জেমকন খুলনা। শুরুটা ভালো না হলেও সপ্তম ওভারে নেমে দলকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিলেন ৭০ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ। শিরোপা জিততে চট্টগ্রামের প্রয়োজন ১৫৬ রান।
শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি জেমকন খুলনার। ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারতে গিয়ে মিড অফে ধরা পড়েন ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি। শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ কাটিয়ে ওঠার আগে আরও একটি উইকেট হারায় তারা। দলীয় ২১ রানে ইমরুল কায়েস সাজঘরে ফেরেন।
দারুণ শুরু করা জাকির হাসানও ইনিংস বড় করতে পারেনননি। ২০ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় ২৫ রান করেন থামেন তরুণ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন আরিফুল হক। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২১ রান করে থামলেও মাহমুদউল্লাহ ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন।
খুলনার ইনিংসে একমাত্র মাহমুদউল্লাহই কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন। নেতার মতো খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। সৌম্য সরকারের করা শেষ ওভারে ১৭ রান তোলেন খুলনার অধিনায়ক। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ৪৮ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় হার না মানা ৭০ রান করেন। শুভাগত হোম করেন ১৫ রান। চট্টগ্রামের নাহিদুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম ২টি করে উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন।