‘মাশরাফি ভাই থাকলে দলের জন্য ভালো হবে’
দীর্ঘ বিরতির পর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে মাঠে ফিরছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জেমকন খুলনার হয়ে খেলা বাংলাদেশের সফলতম এই ওয়ানডে অধিনায়ক তিন ম্যাচে নেন ৭ উইকেট। এর মধ্যে এক ম্যাচেই নেন ৫ উইকেট, যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেরা। ফেরার পর্বটা ভালোই গেছে মাশরাফির। অভিজ্ঞ এই পেসারের দৃষ্টি এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে।
২০০৯ সালের পর আর টেস্ট খেলা হয়নি মাশরাফির। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন বছর তিনেক হয়। কিন্তু প্রিয় ওয়ানডে ফরম্যাটে এখনও খেলে যাচ্ছেন তিনি। গত মার্চে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেও এই ফরম্যাটে আরও কিছুদিন খেলে যেতে চান তিনি। ওয়ানডে সিরিজ এগিয়ে আসায় মাশরাফির দলে থাকা, না থাকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
নির্বাচকরা মাশরাফিকে নিয়ে এখনই মন্তব্য না করলেও ক্রিকেটারদের চাওয়া তাকে দলে নেওয়া হোক। মাশরাফিকে দলে চাওয়ার তালিকায় আছেন অনেক ক্রিকেটারই। এদের মধ্যে একজন ডানহাতি পেসার আল আমিন হোসেন। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মাশরাফির সঙ্গে একই দলে খেলা খেলা আল আমিন মনে করেন, তার মতো অভিজ্ঞ এজকন ক্রিকেটার দলে থাকলে দল সমৃদ্ধ হবে, দলের জন্য ভালো হবে।
শনিবার মিরপুর একাডেমি মাঠে ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে আল আমিন বলেন, 'ওনার (মাশরাফি) সাথে খেলেছি, সবকিছু মিলিয়ে উনি খুব ভালো একজন লিডার। যতদিন একসাথে আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি বা ওয়ানডে টুর্নামেন্ট খেলেছি, উনাকে জানার সুযোগ হয়েছে। মাশরাফি ভাই অনেকদিন ইনজুরিতে ছিলেন। উনি ফিরেছেন, ওনার সেরা পারফরম্যান্সই করেছেন। আমার কাছে মনে হয় উনি ভালো অবস্থায় আছেন। যদি দলে থাকেন, তাহলে দলের জন্য ভালো হবে।'
আল আমিনের মতে ফিটনেসের দিক থেকে ভালো অবস্থায় আছেন মাশরাফি। তবে ফিটনেসের সার্টিফিকেট দেবেন ট্রেইনার বা টিম ম্যানেজমেন্ট। এ কারণে কোনো ক্রিকেটারের দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মন্তব্য করতে চান না বাংলাদেশের হয়ে ৭ টেস্ট, ১৫ ওয়ানডে ও ৩১টি টি-টোয়েন্টি খেলা আল আমিন।
২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের হয়ে খেলে আসা এই পেসার বলেন, 'ফিটনেসের ব্যাপারটা ট্রেনার বা টিম ম্যানেজমেন্ট দেখবে। আর দলে কে অন্তর্ভূক্ত হবে, না হবে সেটা আমার এখতিয়ার না। এই বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কে দলে থাকবে, আমিও থাকব কিনা, এটা আসলে টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক-কোচিং স্টাফরা ভালো বুঝবেন।'
দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলতে আগামী ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ১৮ জানুয়ারি বিকেএসপিতে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ সফর শুরু হবে ক্যারিবীয়দের। এরপর ২০ ও ২২ জানুয়ারি মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবে দুই দল। একদিন বিরতি দিয়ে ২৫ জানুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল। ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে উইন্ডিজ। ৩ ফেব্রুয়ারি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি মিরপুর স্টেডিয়ামে শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।