দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরের পথে রোহিঙ্গারা
ভাসানচরের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে সোমবার সকালে যাত্রা শুরু করেছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তেরটি বাস ও বিশটি ট্রাকে করে বেলা ১১ টা ৪৫ বাজে ভাসানচরের উদ্দেশ্য ট্রানজিট পয়েন্ট ত্যাগ করেছে রোহিঙ্গাদের প্রথমদল।
আজ রাতের ভেতরেই কক্সবাজার ছাড়বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আরো দুটো দল।
তিনটি দলই আজ চট্টগ্রামে থেকে যাবে, তাদের মঙ্গলবার স্থানন্তর করা হবে ভাসানচরে।
উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট নির্মাণ করা হয়েছে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানন্তর করার জন্য।
সূত্রমতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-১৫ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ার।
তবে স্থানান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়নি কর্তৃপক্ষকে।
সূত্র আরো জানায়- যারা স্বেচ্ছায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভাসানচরে যাবার, কেবল তাদেরই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এর ফলে ১০ লক্ষের'ও বেশি রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলের ভিড় কমে আসছে।
৪ ডিসেম্বরে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেবার পর এবার এক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
ক্যাম্প নেতাদের মতে অনেকে রোহিঙ্গা পরিবার স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী, এবং তারা যাওয়ার জন্য সরকার নির্ধারিত বাসে চড়ছে ট্রানজিট পয়েন্টগুলো থেকে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আন্তর্জাতিক একটি দাতা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানান, ক্রমাগত অভিযোগ আসছে এনজিও গুলোর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর যেতে নিরুৎসাহিত করার। তাই এই পরিস্থিতিতে এনজিওগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে নীরব থাকার।
তিনি বলেন, "সরকার যেখানেই রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাক, আমরা সহযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার অংশীদার থাকবো, রোহিঙ্গারা কোথায় থাকবে এই সিদ্ধান্ত নেবার আমরা কেউ নই, এই সিদ্ধান্ত সরকারের।"
এরমধ্যে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জাহাজ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচর নিয়ে যাবার জন্য।
দ্বিতীয় দফায় স্থানন্তর বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার থেকে সিদ্ধান্ত আছে দ্বিতীয় দফায় স্থানান্তরের জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া না পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য সরবরাহ না করার।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায়। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা থেকে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালী জেলার ভাসানচরে পৌঁছায় স্থানন্তর প্রক্রিয়ার প্রথম দল হিসেবে।