ইসরায়েলে দ্রুত টিকাদানের পর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি
ইসরায়েলে কভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকেই অর্থনিতির গতি ফিরতে শুরু করেছে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসরায়েলের বিশ্লেষক বাংক লিউমি লে ও শীর্ষ অর্থনিতিবিদ গিল বাফমান ৪ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা জানিয়েছেন। টিকাদান কর্মসূচী একই গতিবেগে চললে অচিরেই ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্জনের সম্ভাবনার কথাও জানান তারা।
লিডার ক্যাপিটাল মার্কেটস লিমিটেডের সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিশেষজ্ঞ জোনাথন কাটজ জানান, ইতোপূর্বে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ আউটপুট বৃদ্ধির পূর্বাভাস থাকলেও, বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থবছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বিগত অর্থবছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েলে টিকাদানের হার প্রতি ১০০ জনে ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা বিশ্বে এপর্যন্ত সর্বোচ্চ। ৩ দশমিক ৪৯ ও ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে বাহরাইন ও যুক্তরাজ্য। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষণ ওইয়েবসাইটের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরায়েলে ফাইজারের ভ্যাকসিনের টিকাদান শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমেই দেশটির মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি মানুষের টিকাদান হয়ে গেছে।