ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের সকল যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে এবার উপকূলে ভেসে এল যাত্রীদের দেহাংশ। এ অবস্থায় পাইলট, বিমানকর্মীসহ যে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি যাত্রা করে, তাঁদের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ''রবিবার সকাল পর্যন্ত দু'টি ব্যাগ উদ্ধার করা গিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে যাত্রীদের দেহাংশ মিলেছে। অন্যটিতে তাঁদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের টুকরো।''
উদ্ধারকার্য চালাতে এই মুহূর্তে ১০টি জাহাজ নামিয়েছে জাকার্তা প্রশাসন।
এ ছাড়াও নৌবাহিনীর ডুবুরিদেরও নামানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের টুকরো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে জাকার্তার সোকরানো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পোনতিয়ানাকের উদ্দেশে রওনা দেয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের এসজেওয়াই ১৮২ নম্বর বিমানটি। রেজিস্ট্রেশন ডিটেইল অনুযায়ী, বিমানটি একটি ২৬ বছর পুরনো বোয়িং ৭৩৭-৫০০।
বিবিসি জানায়, পাইলট, সহকারী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে তাতে ৬২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল ১০ জন শিশুও। শিশুদের মধ্যে ৩ জনের বয়স একেবারেই অল্প। যাত্রীদের প্রত্যেকেই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ৪ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের। প্রবল বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পর বিমানটি রওনা হয়েছিল ।
একটি ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট জানায়, উড্ডয়নের পর সোজা ১০ হাজার ৯০০ ফুট উপরে উঠে যায় বিমানটি। কিন্তু মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট নেমে আসে। সেই অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার কয়েক ঘণ্টা পরে জানা যায় জাভা সাগরে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। সেখানকার থাউজ্যান্ড আইল্যান্ডস এলাকায় জলের মধ্যে থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের টুকরো উদ্ধার হয়েছে বলে জানায় ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি।
উড়োজাহাজটির আরোহীদের উদ্বিগ্ন, বিপর্যস্ত স্বজনরা জাকার্তার সোকরানো-হাত্তা বিমানবন্দর এবং জাকার্তা থেকে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার দূরে পোনতিয়ানাকেও অপেক্ষা করছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।