বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্রিকেটারদের ধর্মঘট প্রত্যাহার
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও পরিচালক মাহবুবুল আনামের সঙ্গে বৈঠকের পর ক্রিকেটাররা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।
বিসিবির তরফ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসের পরই ক্রিকেটাররা এ সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার ঘোষিত ১১ দফা দাবির নয়টি মেনে নিয়েছেন বিসিবি কর্তৃপক্ষ। প্রথম ও শেষ দাবি দুটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এ দুটি দাবির একটি ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-সংক্রান্ত। অন্যটি হল, দুটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে খেলোয়াড়দের খেলা নিয়ে।
বুধবার উত্থাপিত নতুন দুটি দাবি নিয়ে এ বৈঠকে কথা হয়নি। তবে পরে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবি।
এর আগে,রাত সোয়া দশটার দিকে মিরপুরে ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়ে বিসিবির কর্তাদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বৈঠক শুরু হয়। সন্ধ্যায় গুলশানে সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্রিকেটাররা বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে গত সোমবার প্রায় ৬০ জন ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান।
এরপর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।তিনি এই ধর্মঘট আহ্বানে ষড়যন্ত্রের আভাস পাবার কথা বলেন।
এ প্রেক্ষিতে আসন্ন ভারত সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়টি দেশজুড়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে ওঠে। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার সকাল থেকে বিসিবির কর্মকর্তারা আলোচনার কথা বলতে শুরু করেন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রয়োজনে বোর্ডপ্রধানও আলোচনায় বসবেন।
বিসিবির মিডিয়া কমিউনিকেশনের প্রধানও জানান, তাঁরা খেলোয়াড়দের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁরা আশা করছেন যে, ক্রিকেটারররা বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।
এদিকে, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে দেখা করেন। ক্রিকেটারদের ধর্মঘট নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়।
এরপরই তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটারদের এই হঠাৎ ধর্মঘটে বেশ মর্মাহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘যা-ই ঘটুক ওরা খেলবে না কেন? আমার দরজা খোলা, আপনার (নাজমুল হাসানের) দরজা খোলা। আমাদের কাউকে কিছু না বলে কেন ওরা কেন খেলা বন্ধ করবে?’
বিসিবি সভাপতি তাঁর বক্তব্যের উপসংহার টানেন এভাবে- পৃথিবীর আর কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি যে, দাবি উপস্থাপন না করেই কেউ ধর্মঘটে গিয়েছে।
এরপর সন্ধ্যায় গুলশানের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান দাবিগুলো তুলে ধরেন। সঙ্গে যোগ হয় আরও দুটি দাবি। তার একটি হল, বোর্ডের রাজস্বের ভাগ দিতে হবে ক্রিকেটারদের এবং নারী ক্রিকেট দলকেও দিতে হবে ন্যায্য ভাগ।