আমি একদম ঠিক আছি: ভ্যাকসিন গ্রহণের পর অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণের কয়েকঘন্টা পর প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, এর ফলে শরীরে কোনো ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তিনি অনুভব করেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন তিনি।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, "আমি একদম ঠিক আছি। ভ্যাকসিন নিয়ে শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও একধরণের ভয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে সব তথ্যই ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। আমি সকালেও ইংল্যান্ডের আমার দুই সহকর্মীর কাছ থেকে বার্তা পেয়েছি যারা এই ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করেছেন এবং ভালো আছেন।"
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, "ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট যে সরাসরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার পেটেন্ট করা এই ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করছে তা জনগণের জানা উচিত। সুতরাং এই ভ্যাকসিনের মানের নিশ্চয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকা উচিত না। ভ্যাকসিনেরশনের জন্য বাংলাদেশ যে অবকাঠামো তৈরি করেছে সেটিও অত্যন্ত ভালো।"
এর আগে আজ সকালে রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এটি উদ্বোধন করেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রস্তুতকৃত টিকার মাধ্যমে দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষের টিকা গ্রহণ সম্পন্ন হবে আশা করা হচ্ছে।
টিকাদান কর্মসূচী উদ্বোধনের পর একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইট চালু করেছে সরকার যার মাধ্যমে ভ্যাকসিনটির জন্য নিবন্ধন করা যাবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সত্তর লাখ ডোজ রয়েছে।
এর মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ নিজেদের ক্রয় করা এবং ২০ লাখ টিকা ডোজ ভারত উপহার হিসেবে দিয়েছে বাংলাদেশকে।