ভাসানচরের পথে চার জাহাজে ১ হাজার ৭৭৪ রোহিঙ্গা
তৃতীয় দফায় ভাসানচরের পথে যাত্রা শুরু করেছে ১ হাজার ৭৭৪ জন রোহিঙ্গা। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজে করে তারা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল ৩৮টি বাসে করে ৩৫৩ পরিবারের ১ হাজার ৭৮০ জনকে চট্টগ্রামে আনা হয়। এদের মধ্যে দুইজন অসুস্থ থাকায় তারা রওনা দেননি।
অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, আজ শনিবার আরও ১ হাজার ৩০০ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামে আনা হবে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
সূত্র মতে, নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাগরের মাঝে ভেসে থাকা ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য সব ধরনের সুবিধা সংবলিত ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে সুরক্ষায় রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থাও। বসবাসের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা দেখতে গত সেপ্টেম্বরে দুই নারীসহ ৪০ রোহিঙ্গা নেতাকে সেখানে নিয়ে যায় সরকার। ভাসানচরের আবাসন ব্যবস্থা দেখে মুগ্ধ হয়ে তারা ক্যাম্পে ফিরে অন্যদের ভাসানচরে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। দু'বছর আগে সরকার ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তাদের অনিচ্ছার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে এর যাত্রা শুরু হওয়ায় উখিয়া-টেকনাফের সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য যে আবাসস্থল নির্মাণ করা হয়েছে, তা আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ। সব মিলিয়ে কক্সবাজারের চেয়ে ১৮টি উন্নত সুবিধা রয়েছে ভাসানচরে।
ভাসানচরে যেতে আগ্রহী অনেকে জানান, "ভাসানচরে অবস্থান ও রোহিঙ্গাদের মুখে সেখানকার বর্ণনা শুনে এবং প্রথম ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের দেয়া অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সেখানে যেতে চাই"। তাদের মতে পাহাড়ের ঘিঞ্জি বস্তিতে বসবাসের চেয়ে ভাসানচর অনেক নিরাপদ হবে। এ ছাড়া ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নির্মিত অবকাঠামো অনেক বেশি আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে মনে করছে রোহিঙ্গারা।