আল জাজিরার প্রামাণ্যচিত্র ইস্যুতে ৬ অ্যামিকাস কিউরির বক্তব্য শুনবে হাইকোর্ট
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কিত প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রচারের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চ্যানেলটির নিষিদ্ধ করাসহ অনলাইন মাধ্যম থেকে প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে মতামত জানতে ৬ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারক মুজিবুর রহমান মিয়া ও মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এনামুল কবির ইমনের করা এক রিটের শুনানি শেষে তারা রায়টি দেন।
আদালত নির্ধারিত ৬ অ্যামিকাস কিউরি হলেন; এ জে মোহাম্মদ আলী, কামালুল আলম, আবদুল মতিন খসরু, ফিদা এম কামাল, শাহদীন মালিক ও প্রবীর নিয়োগী।
এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
শুনানির সময় আদালত বাংলাদেশ টেলি-যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি)- এর ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, তাদের নিস্ক্রিয়তার কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই আল জাজিরার প্রতিবেদন দেখে ফেলেছে। বিটিআরসি এত দিন কী করল, আপত্তিকর কিছু সম্প্রচার বন্ধে বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা আর না করা সমান কথা।
এর আগে গত সোমবার ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউব থেকে 'অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান' শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলার আদেশ চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিবাদী করা হয়েছে।
ইতোপূর্বে, গত ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে, আল জাজিরার প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার বলে নিন্দা জানানো হয়।
প্রতিবেদনের দাবিসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে সেনা সদর জানায়, সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক নষ্ট করতেই এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
ইতোপূর্বে, গত শনিবার আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।