রাশিয়ার স্পুটনিক-ফাইভ ভ্যাকসিন বিক্রি শুরু হচ্ছে পাকিস্তানে
বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্যে রাশিয়ায় তৈরি স্পুটনিক-ফাইভ টিকার চালান পাচ্ছে পাকিস্তানের একটি ল্যাবরেটরি। চুগতাই ল্যাব নামের ওই ওষুধ উৎপাদক ও বিপণন সংস্থার এক কর্মকর্তা গত রোববার তা নিশ্চিত করেন।
মহামারি নির্মূলে দেশটি যখন ভ্যাকসিনের চালান যোগাড়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই এখবর জানা গেল।
স্পুটনিক-ফাইভ টিকার ফলপ্রসূ প্রভাব এবং উচ্চ দাম নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও, চলতি সপ্তাহেই ইসলামাবাদ এটি আমদানি ও স্থানীয় বাজারে বিক্রির অনুমতি দেয়। বিক্রির ক্ষেত্রে দামের সীমারেখা বেধে দেওয়া হয়নি। সেই তুলনায় প্রতিষেধকটি আমদানি করা অন্যান্য দেশ এটি সরকারি চ্যানেলে আমদানি ও বিতরণ করছে।
চুগতাই ল্যাব- এর পরিচালক ওমর চুগতাই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'আগামী সপ্তাহেই প্রথম চালানটি পাওয়ার আশা করছি।' প্রথম চালানে পাওয়া ডোজের সংখ্যা বেশি হবে না বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এদিকে স্বল্প আয়ের দেশ হয়েও মূল্যসীমা ছাড়া টিকা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি ও বিপণনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কর্তৃপক্ষের তীব্র সমালোচনা চলছে। ২২ কোটি জনসংখ্যার অধিকাংশ যেখানে দরিদ্র, সেখানে এমন নীতির যৌক্তিক ব্যাখ্যা চান সাধারণ জনতা ও বিরোধী রাজনীতিকরা।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জা সরকারের টিকা ডোজ সংগ্রহ ও বিতরণের একান্ত চেষ্টার প্রশংসা করলেও, মূল্যসীমা ছাড়া টিকা বিক্রি 'সমাজে বৈষম্যের বিভাজন আরও গভীর করবে' বলে মন্তব্য করেন। তার মতে, ব্যাপকহারে গণ-টিকাদান নিশ্চিত করার প্রয়োজন হলেও সরকারের এই পদক্ষেপ তার ঠিক বিপরীত।
চলতি মাসেই ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন থেকে অনুদান পাওয়া সিনোফার্মের টিকার মাধ্যমে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ দেশটি। তবে চীন মাত্র ৫ লাখ ডোজ দেয়, যেকারণে ব্যাপক আকারে টিকাদান চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এছাড়া, ইসলামাবাদ এখনও চীন থেকে টিকা কেনার কোনো চুক্তি করেনি।
পাকিস্তানে স্পুটনিক-ফাইভ'সহ জরুরি অনুমোদন পেয়েছে চারটি ভ্যাকসিন। এরমধ্যে দুটিই চীনের তৈরি। অপরটি হলো অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত।
চুগতাই ল্যাব অনুমোদন পাওয়া অন্যান্য টিকাও আমদানি করার লক্ষ্য নিয়েছে, তবে প্রথমে স্পুটনিক-ভি'র চালান পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
- সূত্র: আরব নিউজ