ভারতের ভাষা আন্দোলন
![](https://tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/13/monwarul_huq.jpg)
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি বাঙালীর এক বিশাল গৌরবের বিষয়। ২১শে' ফেব্রয়ারি আমাদের ভাষা দিবস। পাকিস্তান জন্মের পর ১৯৪৮ সালের প্রথম দিকে বাঙালি দেখতে পেল পোস্ট অফিসে টাকা পাঠানোর ফর্ম যা মানি অর্ডার ফর্ম নামে পরিচিত, সেই ফর্মে বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে শুধু উর্দু ভাষা রাখা হয়েছে। তারপর তো ভাষা আন্দোলন শুরু হয়ে গেল। এবং দীর্ঘ পথ চলার মধ্য দিয়ে আমাদের ভাষার স্বীকৃতি ও স্বাধীনতা অর্জিত হল।
আমাদের ভাষা আন্দোলনের কথা পৃথিবীর মানুষ জানে। আমাদের মতো আন্দোলন না হলেও, বৃটিশ-শাসিত ভারতের এক বিশাল অংশে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তা শেষ হয় স্বাধীন ভারতে ১৯৬৫ সালে।
নেহেরুর মৃত্যুর পর লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের প্রধান মন্ত্রী হয়ে ভাষার জন্য আন্দোলনরত রাজ্যগুলির সঙ্গে সমঝোতা করেন। ২৮ বছর দীর্ঘায়িত হয়েছিল এই আন্দোলন। আর এটি ছিল ইংরেজি ভাষা প্রতিষ্ঠার কিংবা হিন্দি ভাষা প্রতিহত করার আন্দোলন। মহারাষ্ট্র, আসাম, পশ্চিম বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরালার যেসব অঞ্চলে হিন্দিভাষী ছিল না- তারা সবাই এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল।
কংগ্রেসের প্রধান প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, বল্লভভাই প্যাটেল, মাওলানা আজাদ সবাই ছিল হিন্দিভাষী, যেমন; মুসলিম লীগের অধিকাংশ নেতা ছিলেন উর্দুভাষী।
১৯২০ সালের মাদ্রাজ নির্বাচনে কংগ্রেস স্থানীয় দল জাস্টিস পার্টির কাছে পরাজিত হয় । এই সময় গান্ধীর নেতৃত্বে ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও ভারত ছাড় আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করে।
১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইনে নানা সংশোধনী নিয়ে আসে এবং 'ভারত শাসন আইন' নামক নতুন আইন প্রনয়ন করে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃটিশ ভারতের প্রদেশগুলিতে ভারতীয়দের দ্বারা স্থানীয় শাসন পরিচালনার ব্যবস্থা তৈরি করা হয়। কক্ষদুটি হলো; ইন্ডিয়ান লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি আর ইন্ডিয়ান লেজিসলেটিভ কাউন্সিল। এ আইনে বিভিন্ন ধরনের সংরক্ষিত আসনের বিধান করা হয়েছিল প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রের ধারণা থেকে। বৃটেনের পাশ করা এই আইনে প্রত্যেক প্রদেশে জনসংখ্যার ভিত্তিতে উভয় কক্ষের প্রতিনিধিদের আসন ঠিক করা হয়। দুই কক্ষেই সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করা হয়।
যেমন সাধারণ আসন অর্থাৎ যে কোন ধর্মের মানুষ সেই আসনগুলিতে নির্বাচন করতে পারত। মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল সবচেয়ে বেশি। যে আসনগুলিতে কেবল মুসলিমরা প্রার্থী হতে পারত, বাংলাসহ বহু প্রদেশে মুসলিমদের জন্যে সংরক্ষিত আসনগুলিতে কংগ্রেস দলীয় মুসলিম প্রার্থী দেয়। মুসলিম ও অন্য ধর্মের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল, প্রদেশগুলির মোট আসনের প্রায় অর্ধেক।
এছাড়াও, অন্যান্য প্রকার সংরক্ষিত আসন ছিল। নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের জন্য ছিল তফসীলি, জাতি ও উপজাতিদের তালিকা; সেই তালিকার আসনগুলিতে কেবল ওই শ্রেণির মানুষ প্রার্থী হতে পারত। এছাড়া, অ্যাংলো- ইউরোপিয় সংরক্ষিত আসনে ইউরোপিয় ও ব্যবসায়িদের জন্যও আসন ছিল।
১৯৩৫ সালের সংরক্ষিত আসন সৃষ্টির আগে, ১৯৩২ সালে বৃটিশরা তাদের বিভাজন রাজনীতির আরেক সংযোজন ঘটাতে চেয়েছিল, দলিত শ্রেনির জন্য আলাদা নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে। গান্ধী ১৯৩২ সালে এই ধারণার বিরুদ্ধে অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। যুক্তি ছিল এরফলে উচ্চ বর্ণের গোষ্ঠী ও নিন্ম বর্ণের মধ্যে আরও বেশি সংঘাতের সৃস্টি হবে। গান্ধীর জীবনে মোট ১৬বার অনশন ধর্মঘটের মধ্যে, ৬ দিনের সেই ধর্মঘট ছিল নবম। তবে এই ধারণার পক্ষে ছিলেন, ভারতীয় সংবিধানের রচনাকারী ড্রাফট কমিটির চেয়ারম্যান ড. আম্বেদকার। আম্বেদকার নিজেও একজন দলিত শ্রেণির মানুষ। পিতা ছিলেন ভারতীয় বৃটিশ সেনাবাহিনীর ট্রাক চালক। আম্বেদকার পরে গান্ধীর যুক্তি মেনে নেন।
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে ১৯৩৭ সালে ১১টি প্রদেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মুসলিম লীগের ব্যাপক পরাজয় হয়। ১১টি প্রদেশের একটিতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে ব্যর্থ হয় দলটি। মোট ১৫৮৬ আসনের মধ্যে ৭০৭টি আসনে কংগ্রেস জয়লাভ করে আর মুসলিম লীগ পায় ১০৬টি আসন । সাধারণ আসনের ৮০০-এর অধিক আসনের মধ্যে কংগ্রেস পায় ৬০০টি আসন। কংগ্রেস বাংলা পাঞ্জাব ও নর্থ ওয়েস্ট ফ্রন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়। নির্বাচনে মুসলিম লীগের এই পরাজয় প্রমাণ করেছিল, ভারতীয় মুসলিমরা তখনও আলাদা মুসলিম লীগের নেতৃত্ব মেনে নেননি। তবে সেই নির্বাচনে খুব সামান্য সংখ্যক ভারতীয়ের ভোটদানের অধিকার পেয়েছিল।
ওই সময়ে ভোটার হওয়ার নানা শর্ত ছিল। আজকের মত বয়স ভিত্তিক ভোটার হওয়া যেত না। কর প্রদানকারী ঊচ্চ শ্রেনীর মানুষরাই ছিল মূল ভোটার। মুসলিম ভোটার সংখ্যা হিন্দুদের তুলনায় কম ছিল। নির্বাচনে ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়ে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে জিন্নাহ প্রস্তাব করেন যে, কংগ্রেস কোনো মুসলমানকে কোন মন্ত্রী বানাতে পারবে না, কারণ মুসলিম লীগ একমাত্র মুসলমানদের প্রতিনিধি। কংগ্রেস সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সর্ব-ভারতীয় দল হিসেবে ব্যাপক সাফল্য পায়।
বাংলায় শেরে- বাংলা ফজলুল হক কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন ১৯৩৩ সালে। কলকাতার মেয়র থাকার সময়, নতুন দল কৃষক প্রজা পার্টি গঠন করেন। মুসলীম লীগ ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ১৯৩৭ সালের নির্বাচনে ৩৬টি আসনে তার দল জয়ী হয় এবং কংগ্রেসের সমর্থনে বাংলার প্রধানমন্ত্রী (তখন প্রদেশে প্রধানমন্ত্রী বলা হতো) হিসাবে ক্ষমতাসীন থাকেন। তার দলের প্রধান দুইটি দাবি বাংলার সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল:
১) জমিদারি ব্যবস্থা উচ্ছেদ
২) কৃষকদের মহাজনের ঋণ থেকে উদ্বার করার জন্য ঋণ সালিশী বোর্ড গঠন।
মাদ্রাজের নির্বাচনে ২১৫ আসনের মধ্যে ১৫৯টি'তে জয়লাভ করে কংগ্রেস। মুসলিম লীগ পায় ৬টি আর জাস্টিস পার্টি পায় ১৮টি। ১৯২০-১৯৩৭ পর্যন্ত মাদ্রাজে এই জাস্টিস পার্টি দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় ছিল। কংগ্রেস নেতা সি. রাজাগোপাল আচারিয়া হন প্রধানমন্ত্রী (অধুনা মুখ্যমন্ত্রী)। আর বিরোধী দলে পরিণত হয় পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী রামাকৃষ্ণ রঙ্গ রাও- জাস্টিস পার্টি। রঙ্গ রাও ছিলেন বিখ্যাত বোব্বিলি বংশের বৃহৎ জমিদার, তার উপাধি ছিল রাজা।
মাদ্রাজের এই নির্বাচন কংগ্রেসকে, যেমন দক্ষিণের বিশাল জনগোষ্ঠির শাসন করার ক্ষমতা অর্জন করার সুযোগ করে দেয়, আবার সেই সরকারই ভারতের তামিল ভাষাভাষী এলাকা থেকে এই কংগ্রেসকে চিরতরে বিদায় করার পথ প্রশস্ত করেছিল।
এর কারণ ছিল ভাষা। ডেক্কান বা দাক্ষিণাত্য- এর বিশাল অংশে নানা ভাষা যেমন; তামিল, মালায়ম, ঊর্দু-সহ ৫/৬টি অতি-পুরোনো ও সমৃদ্ধ ভাষা- বিভিন্ন জনগোষ্ঠির মাতৃভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে চালু ছিল। এরসাথে বৃটিশ শাসনের কারণে ভারতের সর্ব-দক্ষিণের এই অঞ্চলে, বহুকাল ধরেই ইংরেজি ভাষা নিজের অনন্য জায়গা করে নিয়েছিল।
হিন্দি ভাষাভাষী কংগ্রেস নেতা গান্ধী, নেহুরু, প্যাটেল, আজাদের অদূরদর্শিতার কারণে; মাদ্রাজের ১৯৩৭ সালের রাজা আচারিয়ার সরকার মাদ্রাজের শিক্ষার ভাষা হিসাবে মাদ্রাজ পার্লামেন্টে আইন করার চেষ্টা করে। এ অঞ্চলের প্রায় ৭০% মানুষ তামিল ভাষাভাষী। তামিল ভাষা বিভিন্ন ধর্মের ভাষা হিসাবেও, পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে আছে। ভারতীয় ভাষার মধ্যে অন্যতম প্রাচীন ভাষা এটা। খৃস্টপূর্ব ৫০০ বছর আগেও আদি-তামিল ভাষার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
রাজা আচারিয়ার মাদ্রাজ সরকারের এই সিদ্ধান্তে দক্ষিণের সমগ্র মানুষ ভাষার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১৯৩৭ থেকে ১৯৩৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার নারী-পুরুষ কারাগারে নিক্ষেপিত হয়। স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরাও আন্দোলনকারীদের ঊপর আক্রমণ করে।
মুসলমানরা উর্দু ভাষার অংশ- হিন্দি ভাষার পক্ষ অবলম্বন করে। এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিদিন হিন্দির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত ছিল, দিল্লির কংগ্রেস নেতারা ওই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি বুঝতে পারেননি।
অবশেষে, বৃটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ১৯৩৯ সালের নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণা প্রদান করলে কংগ্রেস সেই যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকার করে এবং ভারতবাসীর বিনা অনুমতিতে যুদ্ধের ঘোষনায় কংগ্রেস তার আট প্রদেশের ক্ষমতা থেকে মন্ত্রীদের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। মুসলিম লীগের জিন্নাহ বৃটিশের সেই যুদ্ধের ঘোষনা সমর্থন করেন। রাজা আচারিয়া মাদ্রাজ সরকার থেকে পদত্যাগ করেন, ১৯৩৫ সালের আইন অনুসারে গভর্নরের শাসন জারি করে ব্রিটিশ গভর্নর। একই সময়ে হিন্দি ভাষার আইন বাতিল করা হয়; ফলে এই পর্যায়ে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়।
দক্ষিণের এই ভাষার আন্দোলন আবার ফিরে আসে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর। ১৯৫০ সালের ২৬শে' জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান রচনাকারীরা সংবিধানে একটি ধারা সংযুক্ত করেন, সেখানে বলা হয়: পরবর্তী ১৫ বছর অর্থাৎ ১৯৬৫ সালের ২৬শে' জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস পর্যন্ত সব রাজ্যের ক্ষেত্রে হিন্দি হবে প্রধান ভাষা। কংগ্রেস নেতারা সবাই মূলত উত্তর ভারতের হওয়ায় দক্ষিণের মানুষের ক্ষোভের অনুভূতি উপলদ্ধি করেননি।
সংবিধান গ্রহণের পর থেকেই সংবিধানের ১৭নং চ্যাপ্টার নিয়ে হিন্দিবলয় ছাড়া সর্বত্র অসন্তোষের মনোভাব ধূমায়িত হতে থাকে। তামিল ছাত্ররা প্রতিবছরই ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ শে' জানুয়ারি ভাষার প্রশ্নে তাদের আপত্তি অব্যাহত রাখে। ১৯৫৮ সালে নেহুরু মাদ্রাজ সফরে যেয়ে বিষয়টি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে একে 'আহাম্মকি' বলায়, নতুন করে আরেক রক্তক্ষয়ী প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে (নেহেরু হয়তো পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন নাই), সেই দিন মাদুরাইতে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ফলে প্রায় ৩০০ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আন্দোলন বন্ধ করা হয়।
পরবর্তী বছরগুলিতে নেহেরু দক্ষিণ ভারতের মানুষের অনুভুতি বুঝতে পেরে, ১৯৬৩ সালে ভাষা বিষয়ে সংবিধানে বর্নিত ধারা পরিবর্তন করে যে সংযোজন আনেন- তাতে বলা হয়েছিল: কোনো প্রদেশ চাইলে প্রচলিত ইংরেজি ভাষা ১৯৬৫-র জানুয়ারির পরেও অব্যাহত রাখতে পারবে। কিন্তু, তামিল ছাত্ররা সেই পরিবর্তনের ভাষা নিয়ে সন্দিহান হয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
আচমকা নেহুরুর মৃত্যু হলে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন এবং সংবিধানের ভাষা বিষয়ক চ্যাপটারের কার্যকরের দিন, ২৬ শে' জানুয়ারির আগে ২৫ জানুয়ারি তামিলনাড়ুর ছাত্ররা প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত হলে কংগ্রেস কর্মী ও পুলিশের হামলার শিকার হয়। দুজন স্কুল ছাত্র নিজ দেহে অগ্নিসংযোগ করে আত্মাহুতি দেয়। ভয়ঙ্কর সেই দাঙ্গা ভারতের অন্য সব প্রদেশকে প্রভাবিত করে। আসাম ও বাংলা-সহ অন্য সব হিন্দিবাষী নয়, এমন প্রদেশেও সেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে, কেন্দ্রের লাল বাহাদুর শাস্ত্রী সরকার সংকটের গুরুত্ব বুঝতে পারে। কারণ ইতিমধ্যেই, তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা ৩শ'তে পৌঁছেছে। শাস্ত্রী সরকারের দু'জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদত্যাগ করেন।
পরিস্থিতি সমাল দিতে নিরুপায় শাস্ত্রী এক বেতার ভাষণে ইংরেজি' ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করতে বাধ্য হন। তামিলভাষী মানুষের ইংরেজি ভাষা বাস্তবায়নের আন্দোলনে বিজয়ের ভিতর দিয়ে তামিলনাড়ু থেকে কংগ্রেস চিরতরে বিদায় হয়। ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে ডিএমকে' সরকার (DMK) ক্ষমতায় আসে আর তারপর দক্ষিণে আর কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারেনি কংগ্রস।
- লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক