তূর্ণার ‘নিখোঁজ’ চালক ও স্টেশন মাস্টারের জন্য বিলম্বিত হচ্ছে তদন্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তুর্ণা নিশীথার চালক ও স্টেশন মাস্টারের বক্তব্য না পাওয়ায় বিলম্বিত হচ্ছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ।
এই কমিটি দুর্ঘটনার সময় আবহওয়া পরিস্থিতি এবং সিগন্যালসহ বেশ কয়েকটি কারণ খতিয়ে দেখছে।
আগামী রোববার (১৭ নভেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান মিতু মরিয়ম।
টানা দ্বিতীয়দিনের মতো বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি। তবে দুর্ঘটনার পর থেকেই তূর্ণা নিশীথার চালক তাসের উদ্দিন ‘নিখোঁজ’ থাকায় এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা বলতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
পাশাপাশি মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জাকের হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রামে থাকায় তার সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান মিতু মরিয়ম।
তদন্ত কাজের জন্য তূর্ণা নিশীথার চালক তাসের উদ্দিন ও মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাকের হোসেন চৌধুরীর বক্তব্যকে ‘বড় উপাদান’ মনে করছে তদন্ত কমিটি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির প্রধান মিতু মরিয়ম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, “দুর্ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। তথ্য সংগ্রহের জন্য আজকে আমরা স্টেশনে গিয়েছিলাম, কিন্তু মাস্টার না থাকায় তথ্য ও তার বক্তব্য নিতে পারিনি। পরবর্তী কার্যদিবসের আগেই আমরা এটা সংগ্রহ করে নেব। আমরা মূলত সিগন্যালের বিষয়টিকে সামনে রেখে কাজ করছি। তূর্ণার চালক ‘নিখোঁজ’ থাকায় তার সাথেও কথা বলা যায়নি।”
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোররাত পৌনে তিনটার দিকে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয় শতাধিক যাত্রী।
ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন দুর্ঘটনার জন্য তূর্ণা নিশীথার চালক সিগন্যাল ভঙ্গ করেছেন বলে দায়ী করেন।