তামিমের কথা বলছেন মাহেদীও
সবচেয়ে প্রিয় ফরম্যাটেই বেহাল দশা। ১৩১ রানেই ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর বল হাতে কী-ই বা করার থাকে বোলারদের! প্রথম ওয়ানডেতে কিছুই করতে পারেননি মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মাহেদী হাসানরা। ৮ উইকেটের হার, এরচেয়ে বড় যন্ত্রণা ১৩১ রানে গুটিয়ে যাওয়া। ম্যাচের পরই তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ১৩০ রান করার দল নয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের মতো মাহেদী হাসানও বলছেন, প্রথম ম্যাচে যে পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ, তাদের দল আদতে তেমন নয়। তাই ম্যাচটিকে দুঃস্বপ্ন ভেবে ভুলে যাওয়ার চেষ্টায় তারা। ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো ফল করতে চায় তামিম ইকবালের দল।
আগের ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হওয়া অলরাউন্ডার মাহেদী বলছেন, 'আমাদের দলটা আসলে এ রকম নয়। ওটা একটা খারাপ দিন ছিল, কেউ ভালো করতে পারেনি। তাই আমরা ওটা ভুলে যাচ্ছি। পরবর্তী ম্যাচে নজর দিচ্ছি। আমাদের দলের সমন্বয় খুব ভালো আছে। সমন্বয় অনুযায়ী পারফর্ম করলে ইনশা আল্লাহ ফল ভালো হবে।'
বাংলাদেশের যে বোলিং বিভাগ, তা দিয়ে প্রতিপক্ষের পরীক্ষা নেওয়া যাবে। তবে আসল কাজটা করতে ব্যাটসম্যানদের। মাহেদীর ভাষায়, 'এখানে খেলতে গেলে অবশ্যই রান প্রয়োজন। যদি ২৮০ বা ২৬০-২৭০ করা যায়, তাহলে ওদের বিপক্ষে তা ডিফেন্ড করার মতো। আমাদের যে বোলিং আছে, আমরা ওভারকাম করতে পারব। ব্যাটসম্যান আমরা যারা আছি, সবারই দায়িত্ব একটি ভালো স্কোর দাঁড় করানো।'
আগের ম্যাচে রান না হওয়াতেই বোলাররা কিছু করতে পারেননি বলে মনে করেন মাহেদী। তিনি বলেন, 'আমাদের পেস বোলাররা ভালোই বোলিং করেছে। তবে আমরা বড় রান দাঁড় করাতে পারিনি। গাপটিল খুব মারমুখী ছিল। অন্য ব্যাটসম্যানরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পেরেছে বলে মনে হয় না। তাসকিন খুব ভালো বোলিং করেছে, খুব ভালো পেসে করেছে। হাসান, মুস্তাফিজও ভালো করেছে কিন্তু সব মিলিয়ে তাসকিন খুব ভালো বোলিং করেছে শেষ ম্যাচে।'
অভিষেকটা ঝলমলে হয়নি মাহেদীর। ছক্কা দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে রানের খাতা খোলা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৪ রান করে আউট হন। বল হাতে উইকেট না পেলেও সবচেয়ে কম খরুচে ছিলেন তিনি। নিজের অভিষেকে দলের করুণ দশা হলেও ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানালেন মাহেদী।
জাতীয় দলের হয়ে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলা ২৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, 'একটা খেলোয়াড়ের অভিষেক ম্যাচটা সব সময় খুব স্মরণীয় হয়ে থাকে। এতো বছর কষ্ট করে ক্রিকেট খেলে আন্তর্জাতিক প্রথম ওয়ানডে খেললাম। এটা অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ম্যাচটা জিততে পারলে হয়তো আরও ভালো লাগতো।'