যতই চাপ থাকুক সড়ক আইন বাস্তবায়ন করা হবে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যতই চাপ থাকুক সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করা হবে। সড়কের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আইনটি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলাপকালে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে আজ থেকে ঢাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।’
আইনটি আগের তুলনায় কঠোর করা হয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, "কঠোর করার উদ্দেশ্য শাস্তি দেয়া নয়, সকলের কল্যাণে সড়ককে নিরাপদ করা এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা।"
"আইনটিতে একটি নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, সেটি হলো চালকদের জন্য পয়েন্ট সিস্টেম। উন্নত বিশ্বের মতো আইন অমান্য করলে চালকদের পয়েন্ট কর্তন করা," যোগ করেন তিনি
সড়ক মন্ত্রী জানান, প্রথমবারের মতো সড়ক দুর্ঘটনার জন্য পরিবহন মালিকদেরও আইনের আওতায় আনা হয়েছে। অভিযুক্ত যিনিই হবেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে।
কাদের বলেন, প্রথম পর্যায়ে আইনটি সহনীয়ভাবে কার্যকরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চলবে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ।
আইন বাস্তবায়নে ট্রাফিক বিভাগের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, "অতি দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপডেটের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তারা আমাকে জানিয়েছে।"
তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক অযথা হয়রানি কিংবা বাড়াবাড়ি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সজাগ রয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, প্রয়োজন সমাজের বিভিন্ন অংশীজন তথা সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "কোন প্রকার ধর্মঘট না করার আহবান জানাচ্ছি। তাছাড়া আইনটি নিয়ে যাতে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি না হয় সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সাথে কথা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, বেপরোয়াভাবে বা অবহেলা করে গাড়ি চালানোর কারণে যেকোনো মৃত্যু বা গুরুতর আহতের ঘটনায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস হয়।
গত ২২ অক্টোবর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আইনটি ১ নভেম্বর থেকে পুরোপুরিভাবে কার্যকর হবে।