গোল উৎসবে শিরোপা উদযাপন বায়ার্নের
শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে; মনশেনগ্লাডবাখের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই এ সুখবর পায় বায়ার্ন মিউনিখ। এই ম্যাচটির গুরুত্ব আর কতোটুকুই ছিল জার্মান চ্যাম্পিয়নদের কাছে! কিন্তু মাঠে নেমে আরও মন লাগিয়ে খেললেন বরার্ট লেভানডোভস্কি, টমাস মুলার, কিংসলে কোমানরা। মনের আনন্দে মনশেনগ্লাডবাখের জালে বল পাঠিয়ে গেলেন তারা। বিশাল জয়ে বুন্দেসলিগার শিরোপা উদযাপনও করে নিলো বায়ার্ন।
শনিবার রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মনশেনগ্লাডবাখকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা লেভানডোভস্কি করেন হ্যাটট্রিক। বায়ার্নের হয়ে বাকি তিন গোল করেন টমাস মুলার, কিংসলে কোমান, লেরয় সানে।
দুই ম্যাচ আগেই শিরোপা নিজেদের করে নিলো বায়ার্ন। ৩২ ম্যাচে ২৩ জয়ে তাদের পয়েন্ট ৭৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাইপজিগের পয়েন্ট ৬৪। ১০ পয়েন্টের ব্যবধান থাকায় শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় বায়ার্নের। কারণ লিগের শেষ দুই ম্যাচে বায়ার্ন হারলে এবং লাইপজিগ জিতলেও ৪ পয়েন্টের ব্যবধান থেকে যায়। ৩২ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ডর্টমুন্ড-লাইপজিগ ম্যাচে নজর ছিল বায়ার্নের। এই ম্যাচে লাইপজিগ জিতলে এবং বায়ার্ন হারলে শিরোপা নিষ্পত্তি হতে সময় লাগতো। কিন্তু ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে লাইপজিগ হেরে যাওয়ায় বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়।
বুন্দেসলিগায় সব সময়ই বায়ার্নের দাপট। এ নিয়ে টানা নবমবারের মুতো বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতলো বায়ার্ন। সব মিলিয়ে রেকর্ড ৩১টি বুন্দেসলিগা শিরোপার মালিক জার্মান চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার রাতে মনশেনগ্লাডবাখের জালে গোল উৎসব করলেও লিগে প্রথম দেখায় হারতে হয়েছিল বায়ার্নকে। গত জানুয়ারিতে মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে ৩-২ ব্যবধানে হেরেছিল বায়ার্ন। কিন্তু এবার তাদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলেন লেভানডোভস্কি-মুলাররা।
ঘরের মাঠে বায়ার্নের গোল উৎসবের শুরুটা করেন লেভানদোভস্কি। দ্বিতীয় মিনিটেই গোল আদায় করে নেন পোলিশ এই স্ট্রাইকার। ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মুলার। ৩৪ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান আরও বাড়ান লেভানডোভস্কি। ৪৪ মিনিটে লেভানদোভস্কির পাস থেকে স্কোরলাইন ৪-০ করেন কিংসলে কোমান।
৬৫ মিনিটে সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানদোভস্কি। ডি-বক্সে মনশেনগ্লাডবাখের ফ্লোরিয়ান নেহাসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। ৮৫ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে ছয় নম্বর গোলটি করেন লেরয় সানে (৬-০)।
বুন্দেসলিগার এবারের আসরে লেভানডোভস্কির গোল হলো ৩৯টি। বাকি দুই ম্যাচে আর এক গোল করলে তিনি স্পর্শ করবেন বুন্দেসলিগায় গার্ড মুলারের এক আসরে করা সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে ৪০ গোল করেছিলেন মুলার।