‘এত কম আয় নিয়ে সুস্থ অর্থনীতির একটি দেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়’
বাংলাদেশের জিডিপির তুলনায় রাজস্ব আহরণের অনুপাত প্রায় সব দেশের চেয়ে কম। এত কম সম্পদ নিয়ে কোনো সুস্থ অর্থনীতির দেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের চলমান উন্নয়নকে টেকসই করতে কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে উল্লেখ করে রাজস্ব খাতে বড় ধরণের সংস্কার দরকার বলে মনে করেন তারা।
বিশেষায়িত ইংরেজী দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড আয়োজিত ধারাবাহিক বাজেট পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের সপ্তম পর্বে এসব প্রস্তাব করেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
'রেভিনিউ রিফর্ম' নামে এ অনুষ্ঠানের মডারেটর ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।
সূচনা বক্তব্যে ড. জাহিদ বলেন, "বাংলাদেশে রাজস্ব মোবিলাইজেশনের চ্যালেঞ্জটা ইদানিংকালে গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। আমরা সাধারণত নমিনাল জিডিপি গ্রোথের সাথে রাজস্ব বা রেভিনিউ গ্রোথের সূচকটা দেখে থাকি। কযেক বছর ধরে এ বিষটি প্রখর হচ্ছে যে, জিডিপির দৌড়ের সাথে রেভিনিউটা পিছিয়ে পড়ছে। ফলে রেভিনিউ-জিডিপির ভারসাম্য প্রশ্নের মুখে পড়ছে"।
আলোচনায় অংশ নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, "যেকোনো প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতিতে চাকা দ্রুত ঘুরে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম যত বাড়বে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে বেশি বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা ঠিক তার উল্টোটা দেখি"।
"যেখানে আমাদের ট্যাক্স বয়েন্সিটা (tax buoyancy) হওয়া উচিত এক দশমিক ২ এর মতো। সেখানে আমরা দেখছি ০.৮ এর কাছাকাছি। এটা একেবারে কাম্য নয়। ২০১০ সালে আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ছিল ১০ শতাংশের মতো। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল এটা ১৫ শতাংশে নিয়ে আসা। কিন্তু সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সময় এসে তা ৮ শতাংশের কাছাকাছি ঠেকেছে। এটি খুবই ভয়াবহ চিত্র। কোনো সুস্থ অর্থনীতিতে এমন কম সম্পদ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়", যোগ করেন আহসান এইচ মনসুর।
অমর্ত্য সেনের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় সবগুলো সূচক ভালো। একটা বিষয় যা আমাকে চিন্তিত করে তা হলো, এই ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত নিয়ে একটা দেশ কিভাবে এগিয়ে যাবে।"
কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হলে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, "এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। শুভ চিন্তার মাধ্যমে এগিয়ে গিয়ে এই চ্যালেঞ্জ উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এটা এমনি এমনি ঠিক হয়ে যাবে এ চিন্তায় হবে না। এটার জন্য আমাদের বড় ধরণের কর সংস্কার করতে হবে"।
"পৃথিবীর যেকোনো দেশের সঙ্গে তুলনা করলে এটাকে বলা হবে, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া। এখন আমাদের আর পেছনে যাওয়ার উপায় নেই। ৭ থেকে ১৭ তে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে। যেকোনো একটা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের ১৬-২২ শতাংশের নীচে কর-জিডিপি অনুপাত নেই"।
সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে তিনি বলেন, "প্রশাসনিক সংস্কারটা বেশি দরকার। আমরা যে প্রশাসন দিয়ে ট্যাক্স আদায় করি তা ব্রিটিশ আমলের। আমরা হয়তো অফিস বাড়িয়েছি। তবে চরিত্রগত পরিবর্তন করতে পারিনি"।
তিনি বলেন, "আমাদের দেশে কমিশনাররা সর্বেসর্বা। একজন করদাতাকে রেজিট্রেশন করছেন, কর মূল্যায়ন করছেন, আমার দেয়া করের ওপর পুনর্মূল্যায়ন করছেন, ওনারা আমাকে দণ্ড দিচ্ছেন, ওনারাই আবার আমার মামলার বিচার করছেন । আবার ট্রাইবুনালেও গেলেও সেখানে ওনারাই বসে আছেন। মামলার রায় ওনাদের মতো করেই দিচ্ছেন। এর ফলে করদাতাদের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়। মানুষ ট্যাক্স বিমুখ হয়"।
করদাতারা যাবেন কোথায় এমন প্রশ্ন করে তিনি বলেন, "সব কিছু ফাংশনাল লাইনে হবে, একজনের সাথে আরেকজনের সম্পর্ক হবে না। একজন সর্বময় কর্তা হতে পারবে না"।
প্রখ্যাত এ অর্থনীতিবিদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রহমানও।
তিনি বলেন, "কমিশনার এবং কালেকটরকে সব ক্ষমতা দেয়ার কারণে চাইলেই কাউকে আটকাতে পারছে না। জবাবদিহিতা থাকছে না। আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ আলাদা লোকের হাতে থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বচ্ছতা চলে আসবে"।
রাজস্ব সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব সংস্কার বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, "এনবিআর যতগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কোনোটাই সফল নয়; সবই মৃত বলা যায়। ১৯৯১ সালে ভ্যাট সিস্টেম প্রণয়নের মাধ্যমে একটা বড় সংস্কার হয়েছিল। এরপর আর তেমন কিছু হয়নি"।
"২০১২ সালের ভ্যাট আইন নিয়ে আমরা একটা আশা করছিলাম। ২০১৮ সালে তা বাস্তবায়নের পর তার প্রতিফলন দেখিনি। নতুন আইনটিতে ১৯৯১ সালের আইনের চেয়েও পিছিয়ে যাওয়া হয়েছে"।
"১৯৯০ সাল থেকেই আমরা অটোমেশনের কথা বলে আসছি। কিন্তু তা হচ্ছে না। কেউ ক্ষমতা ছাড়তে চায় না বলে পুরো সিস্টেমটা পরিবর্তন হচ্ছে না"।
এ জন্য ট্যাক্স পলিসি এবং ট্যাক্স প্রশাসন (এডমিনিস্ট্রেশন) আলাদ করতে হবে বলে মনে করেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ।
তিনি বলেন, "এনবিআরের নামের সঙ্গে জাতীয় শব্দ রয়েছে। অর্থাৎ এনবিআর সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়। তারা নিজেরা চলবে। তবে তা হচ্ছে না"।
এনবিআরকে প্রশাসনিকভাবে মানসিক চাপমুক্ত রাখতে হবে। এনবিআরের লোককেই প্রকল্পের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ করতে গেলে ফিল্ডের কাজের আনন্দ সে পায় না। ফলে এ কাজের সঙ্গে আরেকটি দায়িত্ব নিয়ে থাকে। ফলে প্রকল্পের কাজ এগোয় না। কয়দিন পর নতুন পোস্টিং হয়। প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এজন্য দুটি বিভাগকে আলাদা করে দিতে হবে। যাতে ট্যাক্স পলিসি বিভাগ সারা বছর পর্যবেক্ষণ করে বাজেটে পলিসি ঘোষণা করবে।
নতুন আইন প্রণয়ন ও রাজস্ব বিভাগ সংস্কারে দাতা সংস্থাগুলোর কোনো হস্তক্ষেপ থাকে কি না ড. জাহিদ হোসেনের এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, "সংস্কারে দাতাদের সমর্থনে কোনো সমস্যা নেই। সরকার যদি সুস্পষ্ট প্রস্তাব দেয় তবে দাতারা অর্থায়ন করতে সমস্যা করবেন না"।
আগামী বাজেটে প্রত্যাশা
করোনা মহামারি মোকাবেলায় আগামী বাজেটে সরকারের কাছে বড় প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষে রিজওয়ান রহমান বলেন, "করোনার এই মহামারির মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশে নেগেটিভ জিডিপি থাকলেও বাংলাদেশ ৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখাতে পেরেছে। এটি বেসরকারি খাতের কারণেই হয়েছে"।
"চলতি অর্থবছরের বাজেটটি করোনা আক্রমণের তিন মাসের মধ্যে হয়েছে। বাজেটের কার্যক্রম তার আগেই শুরু হওয়ায় বেসরকারি খাতের জন্য ফলপ্রসূ কিছু দেখিনি। আগামী বাজেটটি করোনার এক বছরের অভিজ্ঞতায় হবে। তাই আমরা এখানে প্রত্যাশা করছি"।
আগামী বাজেটে করপোরেট করহার কমানোর পাশাপাশি ট্যাক্স পলিসিতে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএসএমই) খাতকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে মনে করছেন রিজওয়ান রহমান।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য এ বাজেটেই দিক নির্দেশনা চান চেম্বার সভাপতি। তিনি বলেন, মানুষ এখনো নানা সুবিধার আশায় গার্মেন্টস করছে। অন্য সেক্টরে তা দিলে সেখানেও নতুন উদ্যোক্তা আসবে। চামড়া শিল্প, সিরামিকস অ্যান্ড টেবিল ওয়্যার, আইসিটিসহ কয়েকটি খাতে পলিসি সহায়তা চান তিনি।
আগামী বাজেটে করোনার দিক নির্দেশনা থাকবে বলে আশা করছেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদও।
তিনি বলেন, "চলতি বছরের বাজেটে কোভিড-১৯ শব্দটি ১১৬ বার ব্যবহার করা হয়েছে। তবে বন্টন এবং পলিসিতে কোভিডের প্রতিফলন ছিল না। বাজেটের আগে সময় কম ছিল বলে এমনটি হয়েছে বলে আমাদের ধারণা"।
বর্তমানে প্রচলিত সম্পদ করের সারচার্জের ব্যবস্থাটি নৈতিক নয় উল্লেখ করে তা সংস্কারের প্রস্তাব করেন আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, "গুলশানে একটি জমির মালিক ১৯৭০ সালের হিসাবে ১ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন। তিনি এখনো ১ লাখ টাকার ওপর কর দিচ্ছেন। অন্যদিকে একই জমির ওপর ফ্ল্যাট বানানোর পর কেউ যদি তা ৫ কোটি টাকা দিয়ে কেনেন তবে তাকে ওই টাকার ওপর ট্যাক্স দিতে হয়। জমির মালিক এখন ১০০ কোটি টাকার সম্পদ নিয়েও ১ লাখ টাকাও ওপর কর দেন"।
একই সঙ্গে মিনিমাম ট্যাক্স না বাড়িয়ে কোভিডের সময় বিশেষ ব্যক্তির যদি আয় হয় তবে তার আয়ে অতিরিক্ত কর বসানোর প্রস্তাব করেন তিনি। তবে করোনা শেষ হওয়ার পর যেন তা আবার বাতিল করা হয়।
ড. জাহিদ হোসেন বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প বা আরএমজির সাধারণ প্রতিষ্ঠানের জন্য করপোরেট ট্যাক্স ১২ শতাংশ এবং গ্রীন ফ্যাক্টরির জন্য তা ১০ শতাংশ। রপ্তানি খাতের অন্য প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দেয়া যায় কি না তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আর নয়
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আর চান না অর্থনীতিবিদরা। এর মাধ্যমে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি করের ক্ষেত্রে অন্যায্যতা হয় বলে উল্লেখ করেন তারা।
ড. আব্দুল মজিদ বলেন, "কালো টাকা সাদা করার কারণে সরকার কিছু রাজস্ব পেয়েছে। তবে এর ফলে সরকার ২০ শতাংশ কর থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে"।
চলতি বছর কিছু টাকা সাদা হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল বলেই মনে করেন আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, "যেসব লোক অর্থপাচার করেন করোনার কারণে তারা এবার পারেন নি। হুন্ডি হয়নি। আর এ কারণেই এবার এতো টাকা সাদা হয়েছে। তবে এটি ঠিক হয়নি"।
যে ব্যক্তি এ বছর অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করলো তিনি পরবর্তী বছর ঠিক মতো কর দিলো কি না তা নিয়ন্ত্রণ দরকার বলে মনে করেন ড. জাহিদ হোসেন।
বিদেশী প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনকে ভ্যাটের আওতায় আনা
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক্সিকিউটিভ এডিটর শাহরিয়ার খান বলেন, "করোনা আসার পর অনলাইনে বিক্রি বেশ বেড়েছে। দেশে বড় বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিদেশী ডিজিটাল কোম্পানিগুলো বিজ্ঞাপন বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে"। এখান থেকে সরকারের বিপুল রাজস্ব আহরণের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
তবে দেশের ই কমার্সে এখনই করারোপ না করে বিদেশী বিজ্ঞাপন মাধ্যমের ওপর করারোপের প্রস্তাব দেন আব্দুল মজিদ।
তিনি বলেন, "এনবিআরের উচিত হবে এসব প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন বাবদ যে আয় করে তা যথাযথ হিসাবের আওতায় আনা দরকার। এখনই দেশীয় মিডিয়ার মতোই তাদের বিজ্ঞাপন থেকে যথাযথ ভ্যাট আহরণ করা দরকার"।
তবে ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে এফ-কমার্স এবং স্থানীয় ই কমার্সকে প্রণোদনা দেয়া দরকার বলে মনে করেন রিজওয়ান রহমান।
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা হতে হবে বাস্তবসম্মত
রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তব সম্মত হওয়া উচিত জানিয়ে আব্দুল মজিদ বলেন, রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার সনাতন নিয়ম হলো- আগের বছরের অর্জন এবং পরের বছরের ব্যয়ের চিন্তা করে একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করা। ২০১০-১১ সালের আগে পর্যন্ত বিষয়টা এমন ছিল।
তবে ২০১২ সালে এসে বিষয়টি পরিবর্তন হয়ে গেছে। এরপর থেকে সরকার একটা ব্যয়ের ফর্দ তৈরি করে। আর ওই ফর্দ অনুযায়ী এনবিআরকে একটা লক্ষ্য ধরিয়ে দেয়া হয়। বাস্তবায়নযোগ্য কি না তা যাচাই করা হয় না।
অপরিকল্পিত লক্ষ্য ঠিক করে বছর শেষে আবার সংশোধন করা হয়। তবে বছরের শুরুতে বিরাট একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করায় রাজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্যে একটা চাপের তৈরি হয়। তাদের মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। ফলে লক্ষ্যমাত্রাটি অবশ্যই বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত।
রিজওয়ান রহমান বলেন, "রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা যখন দেয়া হয় তখন তা সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয় না। আমরা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর লক্ষ্য দেই কিন্তু নেট ট্যাক্স বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেই না। সরকারের উচিত ট্যাক্স বাড়ানোর পরিবর্তে নেট ট্যাক্স বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করে দেয়া"।