বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহে ভাঙন, বিপদ সংকেত বাংলাদেশের জন্যও
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে বিশালাকার ভাঙন দেখা দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম হিমবাহতে। অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় হিমবাহ ভেঙে যাওয়ার এই ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
হিমবাহ ভাঙনে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে সমুদ্রের পানির স্তর। সংকটে পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গ, বাংলাদেশসহ বিশ্বের তাবত উপকূলবর্তী এলাকা।
আইসবার্গ A-76-এর বিশাল ভাঙনের ছবি শেয়ার করেছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। স্যাটেলাইটে উঠে এসেছে সেই বিশাল বিচ্ছিন্ন অংশের ছবি।
অ্যান্টার্কটিকার রোন আইস শেল্ফের পশ্চিম দিকের হিমবাহে এ ভাঙন দেখা গেছে। এখন মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেই বিশাল বরফ খন্ড পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার ওয়েডডেল সাগরে ভাসছে।
খন্ডটির আকারও নেহাত কম নয়। হিমবাহের ভেঙে পড়া অংশটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার লম্বা এবং প্রস্থ প্রায় ২৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ আকারে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের চেয়েও এটি বড়।
উষ্ণায়নের ফলে হিমবাহের এই অংশে বরফ গলে গিয়েই এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও গত বছর আইসবার্গ A-68A নামে একটি বরফের বিশাল খন্ড বিচ্ছিন্ন হয়েছিল অ্যান্টার্কটিকায়। এতদিন এটিই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান বরফের খন্ড।
পরিবেশবিদদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্রমেই গলছে দুই মেরুর হিমবাহের বরফ। আর সেই হিমবাহের বরফ গলা পানি মিশছে সমুদ্রে। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বিশ্বজুড়ে সমুদ্রের জলস্তর। আপাতভাবে এই বৃদ্ধি সামান্য মনে হতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব হতে পারে ভয়ংকর। সমুদ্রের পানির স্তর থেকে খুব বেশি উঁচু নয়, এমন স্থান ধীরে ধীরে জলমগ্ন হতে পারে। ফলে বিশ্বের উপকূলবর্তী শহরগুলোতে সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। পরিবেশবিদদের এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ, বাংলাদেশের নামও।