‘এভাবে চলতে থাকলে সাতক্ষীরা উপকূলে বাঁধ থাকবে না’
সাতক্ষীরা উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব। নদীতে তাণ্ডব চলছে গোটা উপকূলজুড়ে। ৫-৬ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলরাশি উঠছে বেলা ১১টা থেকে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মূল প্রভাব সাতক্ষীরা উপকূলে পড়তে শুরু করেছে। বেলা ১১.৪০ মিনিট থেকে এর প্রভাব শুরু হয়। চলবে টানা তিন ঘণ্টা।
এদিকে, উপকূলীয় কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীতে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস চলছে। উপকূলজুড়ে বিভিন্ন স্থান দিয়ে বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। স্বেচ্ছাসেবক, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টরা সেটি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
"এভাবে চলতে থাকলে বাঁধ থাকবে না। পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে না। নদীতে যেভাবে ঢেউ চলছে সেটি যদি টানা দুই ঘণ্টা এভাবে চলতে থাকে তাহলে উপকূল রক্ষারবেড়িবাঁধ থাকবে না। কী করবো এখন!" এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি জানান সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদুল হক।
বেলা ১১টার পর থেকে শুরু হয় ২-৩ ফুটের তীব্র গতিবেগের ঢেউ। শ্যামনগর উপজেলার নীলডুমুর এলাকায় পাকা সড়ক উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ শুরু করে। তাৎক্ষনিকভাবে বিজিবি সদস্য ও গ্রামবাসী মিলে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উপকূলে। বেলা ১২টার দিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মূল প্রভাব বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। ৩-৬ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড় বয়ে যাবে।